|
|
|
|
কলকাতায় অপহৃত শিশু মিলল চণ্ডীপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কলকাতা থেকে অপহৃত এক শিশু উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। পাপু তাঁতি নামে পাঁচ বছরের ওই শিশুকে বিক্রির চেষ্টা করার অভিযোগে পুলিশ চণ্ডীপুরের মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক বিদকে গ্রেফতার করেছে। ছেলেকে ফিরে পেতে পাপুর বাবা টিটু ও মা ঊষাদেবী সোমবার তমলুক আদালতে আবেদন জানান। উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করলেই পাপুকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। |
|
আদালত চত্বরে মা-বাবার সঙ্গে পাপু তাঁতি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিক কলকাতার মেয়ো রোড এলাকায় রিকশা চালায়। ওখানেই একটি বস্তিতে থাকে সে। পাশেই সপরিবারে থাকতেন টিটু তাঁতি। গত ১৯ ডিসেম্বর কার্তিক বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে পাপুকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ছেলে বাড়ি না ফেরায় পাপুর পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু অনেক খুঁজেও পাপুর সন্ধান মেলেনি। এ দিকে, কার্তিক ওই শিশুকে চণ্ডীপুরের বাড়িতে এনে গত ২১ ডিসেম্বর দুপুরবেলা স্থানীয় ঘোলদা গ্রামের এক বাসিন্দার কাছে বিক্রির চেষ্টা করে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল প্রধান তা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। এরপরই পুলিশ গিয়ে কার্তিককে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় পাপু। তাকে কাঁথির একটি আবাসিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় রাখা হয়।
এ দিকে, কার্তিক ওই শিশুর নানারকম ঠিকানা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। গত শনিবার ময়দান থানা এলাকায় কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে যায় পুলিশ ও ওই শিশুর ছবি দেখিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই টিটু তার ছেলেকে শনাক্ত করেন। সোমবার তমলুক আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে টিটু ও ঊষাদেবী বলেন, “আমরা রাজমিস্ত্রির জোগাড় হিসাবে কাজ করি। সেদিনও কাজে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে আর ছেলের খোঁজ পাইনি। কার্তিক যে পাপুকে তুলে এনে বিক্রি করার মতলবে ছিল, তা আমরা ভাবতেও পারিনি।” নাবালক অপহরণ ও বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে কার্তিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কার্তিক জেল হাজতে রয়েছে। |
|
|
|
|
|