|
|
|
|
ধান কেনার দাবিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলপাহাড়ি |
রাজ্যে জোট সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ বার সহায়ক-মূল্যে ধান কেনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করল শরিক কংগ্রেস। সোমবার বেলপাহাড়ি ব্লক-অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। ধানের বস্তা-বোঝাই গরুরগাড়ি এনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস-সমর্থক কিছু চাষি। পরে ধান কেনার দাবিতে বিডিও-কে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, বেলপাহাড়ি ব্লক-কংগ্রেসের সভাপতি কালিপদ মান্ডি, সহ-সভাপতি দিলীপ মুস্তাফা প্রমুখ। সুব্রতবাবুদের অভিযোগ, “এখনও বেলপাহাড়ি ব্লকে সরকারি ভাবে সহায়কমূল্যে ধান কেনা শুরুই হয়নি। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ধান-ব্যবসায়ী ও তাদের আড়কাঠিরা গ্রামেগঞ্জে গিয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে অনেক কম দামে ধান কিনছে। অভাবী চাষিরাও কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ধান কেনার জন্য সরকারি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হচ্ছে না।” এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি ভাবে ধান কেনা শুরু না হলে ধানের বস্তা দিয়ে পথ অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সুব্রতবাবুরা। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগদানকারী বাঁশপাহাড়ির চাষি পরেশ মল্লিক, পচাপানির রসময় কালিন্দি, গণ্ডাপালের ভূতনাথ মাহাতোরা জানান, আর কুড়ি দিন পরে জঙ্গলমহলের মূলবাসীদের প্রধান উৎসব ‘মকর পরব’। সরকারি ভাবে ধান কেনা শুরু না হওয়ায় তাঁদের মতো প্রান্তিক চাষিরা মাত্র ৭০০ টাকা কুইন্টাল দরে মহাজনদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেলপাহাড়ির গরিব-জনতাকে ফের অনাহারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিডিও সর্বোদয় সাহা বলেন, “সরকারি ভাবে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এলাকার সমবায় কৃষি-উন্নয়ন সমিতিগুলির একটি তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ধান কেনার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ ব্লকে আসেনি। |
|
|
|
|
|