|
|
|
|
নয়া টার্মিনালে মাল পরিবহণ নির্ঝঞ্ঝাট করতে বিশেষ নজর |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিক টার্মিনালে স্বয়ংক্রিয় কনভেয়ার বেল্ট (ইন-লাইন ব্যাগেজ সিস্টেম)-এর পাশাপাশি হাতে করে যাত্রীদের মালপত্র বিমানে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ।
আগামী জুন থেকে বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে ওই নতুন ও আধুনিক টার্মিনাল। তাই তার আগে দিল্লি বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের ব্যাগেজ-বিভ্রাট থেকে শিক্ষা নিতে চায় কলকাতা। দিল্লিতে নতুন টার্মিনাল থ্রি (টি-থ্রি) চালু হওয়ার পরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘ইন-লাইন ব্যাগেজ সিস্টেম’ নিয়ে ব্যাপক সমস্যা হয় যাত্রীদের। এক জায়গার মালপত্র পৌঁছে যাচ্ছিল অন্যত্র। তার জন্য বিমান ছাড়তেও অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছিল।
বেসরকারি হাতে চলে যাওয়ার পরে ২০১০ সালের নভেম্বরে দিল্লিতে নতুন টার্মিনাল চালু হয়। এয়ার ইন্ডিয়া প্রথম সেই অত্যাধুনিক টার্মিনাল থেকে উড়ান চালাতে শুরু করে। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা জানান, দিল্লিতে টি-থ্রি চালু হওয়ার পরে সেখানকার সমস্যা খতিয়ে দেখতে একটি দল পাঠানো হয়। তাঁর কথায়, “সেই দলের পরামর্শ মেনে আমরা কাজ করব। তবু সাবধানের মার নেই। ‘ইন-লাইন ব্যাগেজ সিস্টেম’-এর পাশেই অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ছ’টি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তিনটি এক্স-রে মেশিন রেখে দেওয়া হবে (এখন যেমন কলকাতায় রাখা আছে)। নতুন ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা দেখা দিলে বিমান সংস্থার কর্মীদের দিয়ে মালপত্র এক্স-রে করিয়ে তা বিমানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর জন্য বিমান সংস্থাগুলিকে অতিরিক্ত কর্মী রাখতে বলা হয়েছে।” দিল্লি বিমানবন্দরের মুখপাত্র অবশ্য এ দিন জানিয়েছেন, প্রাথমিক সমস্যার ধাক্কা কাটিয়ে এখন প্রতি দিন টি-থ্রি দিয়ে ৭২ হাজার ব্যাগ যাতায়াত করে। |
বিমানবন্দর |
কী কাজ |
কত শতাংশ হয়েছে |
নির্মাণ |
১০০ |
উড়ালপুল (কৈখালি
থেকে বিমানবন্দর) |
৯০ |
বিদ্যুৎ সংযোগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ
এবং আগুন নেভানোর ব্যবস্থা |
৭০ |
কনভেয়ার বেল্ট |
৬০ |
এরোব্রিজ (১৮টি), এসক্যালেটর
এবং ওয়াকেলেটর (১৩টি) |
৪০ |
মেঝে, ছাদ এবং অফিসঘর |
৪০ |
চেক-ইন কাউন্টার |
তৈরি হচ্ছে গাজিয়াবাদে |
বিজনেস লাউঞ্জ |
এখনও শুরু হয়নি |
|
|
প্রসঙ্গত, ‘ইন-লাইন ব্যাগেজ সিস্টেম’-এ যাত্রী সরাসরি বিমান সংস্থার চেক-ইন কাউন্টারে গিয়ে ব্যাগ নামিয়ে দিলে কনভেয়ার বেল্টের উপরে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় সেই ব্যাগ এক্স-রে করে নেওয়া হয়। ফলে, ব্যাগ এক্স-রে করার জন্য যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে হয় না। এ দিন অধিকর্তা বি পি শর্মা জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দরেও একটি ‘ইন-লাইন ব্যাগেজ সিস্টেম’ রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জন্য সেই ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। তাঁর আশা, জুন মাসে কলকাতায় নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার আগেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেই অনুমতি তাঁরা পেয়ে যাবেন।
সোমবার স্থানীয় পুরসভা, প্রশাসন ও বিমানবন্দরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন বিমানবন্দর পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়। পরে তিনি জানান, নতুন টার্মিনাল তৈরির ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ। এখন মাসে গড়ে তিন থেকে চার শতাংশ করে কাজ হচ্ছে। ফলে, বাকি ১৩ শতাংশ কাজ মার্চের মধ্যে হয়ে যাবে। পরে অধিকর্তা বি পি শর্মা বলেন, “টার্মিনাল নির্মাণ, উড়ালপুল, বিদ্যুৎ-সংযোগ, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা-সহ বেশির ভাগ কাজই সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। বাকি রয়েছে শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ।” কলকাতায় নতুন টার্মিনালে প্রথম আন্তর্জাতিক উড়ান চালু করা হবে বলে এ দিন অধিকর্তা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|