|
|
|
|
চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে |
দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ধর্মঘট স্থগিত রাখল ফোরাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পাঠ্যবই সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহায় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না-পেলেও ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করে নিল ‘জয়েন্ট ফোরাম ফর বুক ট্রেডার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজ।’ সোমবার বিকাশ ভবনে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পরে ফোরামের আহ্বায়ক অশোক রায় এ কথা জানিয়েছেন।
এ দিনের বৈঠক শেষে পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ধর্মঘট বা আন্দোলন করে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় না। আলোচনার মধ্য দিয়েই সমাধান সম্ভব। শ্রমমন্ত্রীর কথায়, “আমরা ফোরামের প্রতিনিধিদের বলেছি, তাঁদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে এবং সেগুলি সমাধানের যে উপায়ের কথা তাঁরা ভাবছেন, সে সব জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিন। তার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিক ও ফোরামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে। আশা করি, তাতেই সমাধান মিলবে।” পূর্ণেন্দুবাবুর আশ্বাস, সরকার এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না, যা ১৩ লক্ষ মানুষের রুজি-রুটি বিপন্ন করবে। |
|
দোকান খোলার প্রস্তুতি। ছবি: সুদীপ আচার্য। |
অন্য দিকে অশোকবাবু এ দিন জানিয়েছেন, শ্রমমন্ত্রীর কথামতো ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ফোরামের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠি পাঠানো হবে। পাঠ্যবই তৈরি, প্রকাশনা এবং বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও কর্মীদের সংগঠনগুলোকে নিয়ে গড়া ফোরামের পক্ষে অশোকবাবু বলেন, “আমাদের লাগাতার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত এ দিনের আলোচনার ভিত্তিতে স্থগিত রাখা হল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দাবি-দাওয়া কতটা পূরণ হয়, তার উপরেই নির্ভর করবে আগামী দিনের সিদ্ধান্ত।” তবে এ দিনের আলোচনায় তাঁরা যে আশান্বিত, তা-ও জানিয়েছেন অশোকবাবু।
বর্তমানে সরকারি বইও বেসরকারি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু আগামী দিনে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পাঠ্যবই পর্ষদের মাধ্যমে ছেপে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফোরামের আশঙ্কা, এতে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। এবং এরই প্রতিবাদে তারা সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডেকেছিল। ধর্মঘটের জেরে এ দিন ফুটপাথে কিছু পুরনো বইয়ের দোকান ছাড়া বইপাড়া প্রায় বন্ধই ছিল। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে হিন্দু স্কুলের সামনে মঞ্চ তৈরি করে ফোরামের সভাও চলেছে দিনভর।
প্রকাশকদের ধর্মঘট থেকে নিরস্ত করতে পূর্ণেন্দুবাবু অবশ্য শনিবারেই আসরে নেমেছিলেন। তিনি ওই দিন বইপাড়ায় গিয়ে কয়েকটি পুস্তক বিক্রেতা সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেন। আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা ‘বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভা’র সঙ্গে আলোচনা না-করে যে সমস্যার মীমাংসা হবে না, তা বুঝতে পেরে তিনি রবিবার রাতে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রকাশকদের সমস্যার কথা শোনার পরে তিনি তাঁদের এ দিন আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। |
|
|
|
|
|