নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
উত্তরপ্রদেশের এক যুবককে জোর করে আটকে রাখা এবং তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে খয়রাশোলের দহল গ্রাম থেকে আমজাদ খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে অভিযানটি চালায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। সঙ্গে ছিল খয়রাশোল থানার পুলিশও।
পুলিশের দাবি, আমজাদের বাড়ি থেকে আটকে রাখা সাত্তার খান নামে বছর চৌত্রিশের যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ চেয়ে দুবরাজপুর আদালতে আমজাদকে তোলা হলেও কাগজপত্রের কিছু খামতি থাকায় ওই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। সোমবার বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত্তার খান উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার বিনাওর থানার চান্দরা গ্রামের বাসিন্দা। |
আদালতে আমজাদ। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
গত ২০ ডিসেম্বর তাঁর স্ত্রী সিতারা বেগম বিনাওর থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর স্বামীকে জোর করে খয়রাশোল থানা এলাকায় কোথাও আটকে রাখা হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছে। বিনাওর থানার পুলিশ অফিসার মনজিৎ সিংহ বলেন “সিতারা বেগমের অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি, সাত্তার তাঁর বন্ধু, পাশের থানা বরেলির বাসিন্দা নাথু খানের সঙ্গে কুড়ি আগে খয়রাশোলে এসেছিলেন। তার পর থেকে আর সাত্তার বাড়ি ফেরেননি। সিতারা বেগমের সঙ্গে অপহরণকারীর ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড এবং নাথু খানকে জেরা করে পাওয়া সূত্র ধরে খয়রাশোলের দহল গ্রামে আমরা অভিযান চালাই। সঙ্গে খয়রাশোল থানার বাহিনী ছিল।” আমজাদের বাড়িতে তল্লাশি করে সেখান থেকেই সাত্তারকে একটি ঘরে তালাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সাত্তারের অভিযোগ, “আমাকে কাজ দেবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখানে ডেকে এনে আটকে রেখে আমার উপরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছিল আমজাদরা।” বিনাওর থানার পুলিশের আরও দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে আমজাদের দাদা কাদের খান এবং খয়রাশোলের চাপলা গ্রামের এক বাসিন্দাও জড়িত। তাদের খোঁজ চলছে। |