ধসের জেরে আতঙ্ক ছড়াল জামুড়িয়ার নিউ কেন্দা কোলিয়ারি এলাকায়। সোমবার ভোরে কোলিয়ারি যাওয়ার রাস্তার কয়েক ফুট দূরেই মাটি ধসে প্রায় ১৫ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। ধসের জেরে ফেটে যায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহের পাইপলাইনও। জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় কেন্দা গ্রাম ও তালড্যাঙরায়। ইসিএল ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে অবিলম্বে পাইপলাইন সারানোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ ফুট লম্বা, ২০ ফুট চওড়া ও ১৫ ফুটেরও বেশি গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই এলাকা থেকে কয়েকশো মিটারের মধ্যেই কেন্দা হিন্দি অবৈতনিক বিদ্যালয়। |
কেন্দা কোলিয়ারির পথে। নিজস্ব চিত্র। |
ইসিএলের সীতারাম রেসকিউ স্টেশনের কর্মী তথা কেন্দা গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এলাকায় একের পর এক ধসের ঘটনা ঘটছে। বছর দু’য়েক আগেও ধসের জেরে স্থানীয় শালডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কেন্দা গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকাকে ইসিএল অনেক আগেই ধসপ্রবণ বিপজ্জনক এলাকা বলে চিহ্নিত করলেও এখনও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেনি।” তাঁর দাবি, “ইসিএল কয়লা কেটে নেওয়ার পরে ধস প্রতিরোধের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয় না। তাই এ রকম ঘটনা বারবার ঘটছে।” এ দিকে তৃণমূলের প্রদেশ কমিটির সদস্য প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, এর আগেও ১৯৭৮ সালে একই জায়গায় ধস হয়। সে সময় ইসিএল যে সঠিকভাবে জায়গাটি ভরাট করেনি, তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল। তাই এই ঘটনার দায়িত্ব ইসিএল দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। ইসিএসলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নিলাদ্রী রায় জানান, ওই এলাকার খনি জাতীয়করণের আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এ দিন সকালেই জায়গাটি মাটি ফেলে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। তবে জায়গাটি আপাতত ঘিরে রাখা হয়েছে। |