নির্দেশ অনুযায়ী খনি আবাসন থেকে জবরদখল উচ্ছেদ প্রক্রিয়া জারি রাখুক সংস্থা, হাইকোর্টের তরফে এমনই জানানো হল ইসিএলকে। সম্প্রতি বারাবনির সালানপুর এলাকার আবাসন দখল করে রাখা কিছু লোকজন উচ্ছেদ আটকানোর আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মহাকরণ থেকে সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে। এ প্রসঙ্গেই আদালত দখল উচ্ছেদ চালু রাখার কথা জানায়। রাজ্য সরকারের তরফেও জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইসিএলকে সহযোগিতা করা হবে।
বছর দু’য়েক আগে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী পার্থ ঘোষ। তিনি জানান, ইসিএলের কর্মী আবাসনের অধিকাংশই দখল করে রেখেছে বহিরাগতেরা। আবাসনে বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, রাস্তা ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ বছরে সংস্থার কয়েক কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আবাসন থেকে দখলদার উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়।
গত ২০ নভেম্বর সালানপুর এরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলের কয়েক জন জবরদখলকারী বাসিন্দা তাঁদের গৃহহীন না করার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠান। মহাকরণ থেকে গণস্বাক্ষর সম্বলিত সেই দাবিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় আসানসোল অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, ৮ ডিসেম্বর ইসিএলের সিএমডি-র কাছে এ বিষয়ে তাঁরা কী করছেন তা তথ্য-সহ সবিস্তার জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই নির্দেশের সঙ্গেই গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্রটিও পাঠিয়েছি।” তবে এখনও সংস্থার তরফে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক।
গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল এবং সোমবুদ্ধ চক্রবর্তীর এজলাসে ইসিএলের আইনজীবী মলয় বসু ওই চিঠি পেশ করেন। বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, দখলদারদের আবেদনে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে আপসের কোনও প্রশ্ন নেই। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফেও সব রকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নভেম্বরে পারবেলিয়া-সহ সংলগ্ন এলাকার ১৪ জন দখলদার হাইকোর্টে দু’টি পিটিশনে জনস্বাস্থ্য মামলার বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁদের ছ’মাস সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। হাইকোর্টের তরফে ওই সব দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্যও জানানো হয়।
ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করা হবে।” |