প্রাচীন মাদ্রাসাপুকুরের অবস্থা। ছবি: সুদীপ দত্ত |
জলপাইগুড়ি মেহেরুন্নেসা হাইস্কুলের পাশে যে বিশাল পুকুরটি রয়েছে, সেটি আজও মাদ্রাসাপুকুর নামেই জলপাইগুড়িবাসীর খুব পরিচিত। অথচ শুধু সংস্কারের অভাবেই এই একশো বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যপূর্ণ পুকুরটি আজ শুধু মজাপুকুরে পরিণত হয়েছে। এই বিশাল পুকুরটির অতীতের অনেক কথা মনে করলে আজও এলাকাবাসীদের মনে নানা স্মৃতি ভেসে ওঠে। এখানে সাঁতার কাটা থেকে শুরু করে সাঁতার শেখানো, সব কিছুই করা হত। যার কারণে অঞ্চলের মানুষ ছাড়া আর কত মানুষ যে পুকুরটিতে সাঁতার শেখার জন্য ছুটে আসতেন, তা ভাবলে কেমন যেন আজ বেদনাই সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মনে। এমনকি এই পুকুরটির এত স্বচ্ছ জল ছিল যে আশেপাশের মানুষ সেই জলে গৃহস্থালির কাজও সেরে ফেলতেন অনায়াসে। কিন্তু ক্রমে এই ঐতিহ্যবাহী এলাকার স্মৃতি বহনকারী পুকুরটি শুধু সরকারি উদাসীনতার ফলেই আজ যেন মৃতপ্রায় হয়ে দাঁড়িয়েছে; যার কারণে এলাকাবাসীর মনে প্রচণ্ড ক্ষোভ সঞ্চারও হয়েছে। পুকুরটিতে আজ স্নান করা তো দূরের কথা, দীর্ঘ দিনের বর্জ্য পদার্থ এবং আগাছা জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় পুকুরটির জল এমন ভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে যে সেটি আশপাশের এলাকাকেও দূষিত করে তুলেছে। অথচ পুরসভার পক্ষ থেকে যদি একটু সদিচ্ছা দেখা যেত, তা হলে এই প্রাচীন ও স্মৃতিবিজড়িত পুকুরটি আবার আগের মতো তার সৌন্দর্য ফিরে পেত। তাই স্থানীয় পুরসভার কাছে আবেদন করছি যে, অবিলম্বে এই পুকুরটির সংস্কারে হাত দিয়ে পুকুরটিকে এলাকার মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করুন। নইলে হয়তো একদিন দেখা যাবে, প্রমোটারের হাতে পড়ে এই ঐতিহ্যপূর্ণ পুকুরটিই জলপাইগুড়ির মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছে।
অরবিন্দকুমার সেন। মহামায়াপাড়া, জলপাইগুড়ি
|
দক্ষিণ দিনাজপুরে খুচরো টাকাপয়সার অভাবে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়েছেন। বেশ কয়েক মাস হল ১, ২ এবং ৫ টাকার নোট ও কয়েনের আকাল দেখা দিয়েছে। খুচরোর অভাবে বাধ্য হয়ে ক্রেতারা অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বভাবতই ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ঝামেলা লেগেই আছে। জেলার বড় বড় অফিসাররা বিষয়টি জানা সত্ত্বেও এর প্রতিকার হচ্ছে না। গত দুই-চার মাসে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে। ছোট দোকানদাররা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ধারণা কোথাও কয়েন পাচার হচ্ছে। নতুবা এ রকম তীব্র সংকট হতে পারে না। এই ব্যাপারে জেলার সমাহর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মিহিরবরণ মুখোপাধ্যায়। বেলতলা পার্ক, বালুরঘাট
|
হলদিবাড়ি ব্লকের জনবহুল মোড় আঙুলদেখায় দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ দিন আগে মৃত পাঁচটি শিশু গাছ। এই ব্লকের আরেকটি মোড় নয়া সড়কেও একটি মৃত গাছ আছে। গাছগুলি রয়েছে বিভিন্ন দোকানের পাশে। যে কোনও সময় এগুলি ভেঙে পড়তে পারে। ঘটতে পারে জীবনহানির মতো দুর্ঘটনা। কর্তৃপক্ষ উদাসীন। অভিজ্ঞদের মতে, গাছগুলির এক-একটির আনুমানিক মূল্য পনেরো থেকে কুড়ি হাজার টাকা। এগুলো বিক্রি করলে যেমন সরকারি খাতে অর্থ জমা হবে, তেমনই মোড় দু’টি বিপদমুক্ত হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। সরকারি সম্পত্তির অপচয় হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ব্লকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার দু’ধারের সতেজ গাছ কাটা হলেও মৃত গাছগুলোকে কাটা হয় না।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে মৃত গাছগুলিকে কেটে ওই সব স্থানে নতুন চারা রোপণ করা হোক।
আব্দুল জলিল সরকার। বক্সিগঞ্জ, কোচবিহার
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
‘উত্তরের চিঠি’
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড,
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১ |
|