মন্ত্রীর বৈঠক ব্যর্থ,
আজ ধর্মঘট শুরু বইপাড়ায়

শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে রবিবার রাতে এক দফা বৈঠকেও জট খোলেনি। তাই পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত, প্রকাশনা এবং বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও কর্মীরা আজ, সোমবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটে নামছেন। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পাঠ্যপুস্তক নিজেরাই ছেপে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদেই এই ধর্মঘট।
ধর্মঘট থেকে প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের নিরস্ত করতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগও অবশ্য বহাল রয়েছে। বিকাশ ভবনে প্রকাশকদের সঙ্গে আজ ফের আলোচনায় বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও।
পাঠ্যপুস্তকের প্রকাশক, বিক্রেতা, মুদ্রক, বাঁধাই সংস্থা এবং কাগজ বিক্রেতারা ধর্মঘট করলেও অন্য বইয়ের প্রকাশকদের ধর্মঘটের বাইরে রাখা হয়েছে। জয়েন্ট কাউন্সিল ফর বুক ট্রেডার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের আহ্বায়ক অশোক রায় বলেন, “এখন জেলায় জেলায় বইমেলা চলছে। তাই পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্যান্য বইয়ের প্রকাশকদের ধর্মঘটের আওতায় আনা হয়নি।” কলেজ স্ট্রিট-সহ গোটা রাজ্যে পাঠ্যপুস্তক বিক্রির দোকান আছে ৪৫ হাজার। তার মধ্যে ৪২ হাজারেরও বেশি বন্ধ থাকবে বলে অশোকবাবুর দাবি।
এত দিন সরকারি বইও স্কুলে সরবরাহ করা হত বেসরকারি প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতাদের মাধ্যমে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন অশোকবাবুরা। রবিবার তিনি বলেন, “সরকার সিদ্ধান্ত বদলের কোনও ইঙ্গিত পর্যন্ত দেয়নি। তাই আমাদের ধর্মঘটে যেতেই হচ্ছে।”
পূর্ণেন্দুবাবু শনিবার কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় গিয়ে পুস্তক বিক্রেতাদের কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেন। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রকাশকদের ইতিমধ্যে যে-কথা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই আমি ওঁদের সঙ্গে আলোচনা করি।” ধর্মঘটের আহ্বায়কদের তরফে অশোকবাবু জানান, মন্ত্রী শনিবার যে-সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তারা শতাব্দী-প্রাচীন সংগঠন বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তকবিক্রেতা সভার কেউ নয়। কারণ ওই সংগঠন মূলত ফুটপাথের গুমটির পুস্তক ব্যবসায়ীদের। ওদের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।
তবে পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “আমরা আলোচনা করে সমস্যাটা মিটিয়ে নিতে চাই। সরকার একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি নির্ধারণ করবে। কারণ আমরা চাই না, প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের পেশা চলে যাক।” সেই সঙ্গেই মন্ত্রী প্রায় হুমকির সুরে জানিয়ে দেন, “প্রকাশকেরা যদি ধর্মঘটে যান, তা হলে সরকার সমস্ত বই ছেপে দেবে। অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীর অসুবিধা বরদাস্ত করা হবে না।” পরে অবশ্য শ্রমমন্ত্রী জানান, আলোচনার পথ খোলাই থাকবে। পূর্ণেন্দুবাবুর বার্তা পেয়ে ধর্মঘটী সংগঠনের প্রতিনিধিরা রবিবার রাতেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে আলোচনায় বসেন। কিন্তু সমস্যার সমাধানের কোনও পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.