|
|
|
|
|
|
|
দেশ শাসন করতে চাইলে |
দেশের প্রথম সারির সরকারি চাকরি ‘ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’-এ ভর্তির জন্য প্রতি বছর পরীক্ষা নেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আই এ এস-এর বাছাই প্রক্রিয়াটি হয় তিনটি ধাপে:
১) প্রিলিমিনারি
২) মেনস
এবং
৩) ইন্টারভিউ।
২০১১ সাল থেকে বদলেছে পরীক্ষার ধাঁচ, যদিও সেটা শুধু প্রাথমিক পরীক্ষার (প্রিলিমিনারি) ক্ষেত্রেই। থাকছে দুটি পেপার। এক, জেনারেল স্টাডিজ (জি এস)। পেপার টু বা সিভিল সার্ভিস অ্যাপটিটিউড টেস্ট (সিএসএটি)-তে প্রশ্ন করা হবে কমপ্রিহেনশন, কমিউনিকেশন স্কিলস সহ ইন্টারপার্সোনাল স্কিলস, ডিসিশন মেকিং অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং, জেনারেল মেন্টাল এবিলিটি, বেসিক নিউমারেসি ও ডেটা ইন্টারপ্রিটেশন এবং ইংলিশ ল্যাঙ্গোয়েজ কম্প্রিহেনশন স্কিলস-এর ওপর।
মেনস্-এর জন্য হাতে সময় থাকে অন্তত চার-পাঁচ মাস। ন’টি পেপারে প্রবন্ধ আকারের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট নম্বর ২০০০। এখানে দুটো ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। ইউ পি এস সি অনুমোদিত মোট ২৬টি বিষয়ের মধ্যে যে কোনও দু’টি ঐচ্ছিক বিষয় বেছে নিতে হয়। ন’টি পেপারের প্রথম দুটি পেপার কিন্তু কোয়ালিফাইং পেপার। এদের নম্বর মেনস-এর নম্বরে যুক্ত না হলেও পেপার দুটিতে অবশ্যই পাশ করতে হবে। মেনস-এর পর আসে ইন্টারভিউ। এতে মোট ৩০০ নম্বর থাকে।
|
|
• যে বছর পরীক্ষা, সেই বছরের ১ অগস্ট পরীক্ষার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
• প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল নেগেটিভ মার্কিং।
• সাধারণত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ এমপ্লয়মেন্ট নিউজ, রোজগার-এর মতো বিভিন্ন চাকরির পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। |
|
|
|
ফোকাস
জয়ন্ত সেনগুপ্ত
শিক্ষক, নোট্র্ডাম বিশ্ববিদ্যালয় |
|
ভবিষ্যতে ইতিহাস নিয়ে পড়তে চাই। উচ্চশিক্ষার কী সুযোগ আছে? কী ধরনের বিষয়ে গবেষণা করা যাবে?
অলোকা দত্ত, মালদা
পশ্চিমবঙ্গে বেশির ভাগ কলেজেই ইতিহাসে অনার্স আছে। এর পর দু’বছরের এম এ করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ও সংস্কৃত, ইসলামিক ইতিহাস ও ইতিহাসে এম এ করা যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে এম এ পড়া যায়। স্পেশালাইজেশন করা যায় প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, ইসলামিক ইতিহাস ইত্যাদিতে। ইতিহাসে এম এ পড়ার পর আর্কিয়োলজি এবং মিউজিয়োলজি-ও পড়া যায়। এম এ-তে ভাল নম্বর থাকলে এম ফিল এবং পিএইচ ডি করা যায়। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দিল্লির জে এন ইউ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড়, হায়দরাবাদ ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ উল্লেখযোগ্য। গত ১৫/২০ বছরে ইতিহাস গবেষণার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে গুরুত্ব পাচ্ছে লোককথা, ছড়া, লোকগান, প্রবাদ অর্থাৎ ‘ওরাল সোর্স’, ফলে ইতিহাসের বৃত্ত ক্রমশ বৃহত্তর হচ্ছে। শিক্ষকতা, গবেষণা সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়ছে।
দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পাঠরত। ভবিষ্যতে ফিজিয়োলজি অনার্স নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক। কোথায় পড়া যাবে? সহ-বিষয়গুলি কী হলে ভাল হয়?
সুদীপা প্রামাণিক, শোভাবাজার
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমহার্স্ট স্ট্রিট অর্থাৎ সিটি মেন কলেজের তিনটি শাখায়, বিদ্যাসাগর কলেজের তিনটি শাখায়, সুরেন্দ্রনাথ কলেজে (সকাল), নেতাজিনগর কলেজ (সকাল), সোনারপুর কলেজ ইত্যাদিতে ফিজিয়োলজি অনার্স পড়ানো হয়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও অনার্স এবং এম এসসি স্তরে বিষয়টি আছে। এ ছাড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি-র অধীন বসিরহাট ও অন্যান্য কলেজ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ, বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ, বহরমপুর গার্লস কলেজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হুগলি মহসীন, বিষ্ণুপুর রামানন্দ, সিউড়ি, কাটোয়া ইত্যাদি কলেজে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেদিনীপুর কলেজ, রাজা এন এল খান কলেজ, পাঁশকুড়া কলেজ, তমলুক কলেজ, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ ইত্যাদি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি আনন্দমোহন কলেজ ইত্যাদিতে ফিজিয়োলজি অনার্স পড়া যায়।
সহকারী বিষয় বা পাস বিষয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই কলেজের
নিজস্ব পছন্দের বিষয় থাকে। সাধারণত ফিজিয়োলজি অনার্স থাকলে পাসে জুঅলজি-বটানি অথবা জুঅলজি-কেমিস্ট্রি নেওয়া হয়। স্কুল স্তরের শিক্ষকতায় যেতে চাইলে জুঅলজি-বটানি (পাস) থাকলে বায়োলজি বা লাইফ সায়েন্স শিক্ষকের পদে আবেদন করা বেশি সুবিধাজনক হয়। গবেষণাধর্মী কাজ করার ইচ্ছা থাকলে জুঅলজি-কেমিস্ট্রি পাস বিষয় নিলে ভাল হয়। এ ছাড়াও মলিকিউলার বায়োলজি-জুঅলজি, মলিকিউলার বায়োলজি-কেমিস্ট্রি কম্বিনেশনও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চের ক্ষেত্রে ভাল।
ভবিষ্যতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে ফরেস্ট্রি বা অরণ্যবিদ্যা নিয়ে পড়তে চাই। কোথায় পড়া যাবে?
আত্রেয় শেঠ, কলকাতা
ফরেস্ট্রি বিষয়টি আমাদের রাজ্যে ডিগ্রি স্তরে পড়ানো হয় না। স্নাতকোত্তর স্তরেও শুধুমাত্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এসসি ইন বটানি অ্যান্ড ফরেস্ট্রি কোর্সে কিছুটা ফরেস্ট্রি পড়ানো হয়। বটানি অনার্সের ছাত্রছাত্রীরা এখানে আবেদন করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বহু জায়গায় ফরেস্ট্রি বি এসসি (৪ বছরের) স্তরেও পড়ানো হয়। এর জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি-বায়োলজি থাকতে হয়। কোথাও কোথাও অঙ্ক থাকা আবশ্যিক, কোথাও কোথাও এগ্রিকালচার থাকলেও আবেদন করা যাবে। এই বিষয়ে পড়ার জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল
১) গোবিন্দবল্লভ পন্থ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (http://www.gbpuat.ac.in/)। এখানে ৪ বছরের বি এসসি কোর্সে আবেদনের জন্য ১০+২ স্তরে বিজ্ঞান শাখায় পড়তে হবে অথবা কৃষিবিদ্যা থাকতে হবে। ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়।
২) জওহরলাল নেহরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জব্বলপুর-এ (http://www.jnkvv.nic.in/) এম এসসি পড়ানো হয়। এর জন্য স্নাতক স্তরে ফরেস্ট্রিতে ৬০ শতাংশ নম্বর চাই।
৩) তামিলনাড়ু এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, কোয়েম্বত্তূর (http://www.tnau.ac.in/)। বি এসসি, এম এসসি ও পিএইচ ডি কোর্সও আছে।
৪) ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট দেরাদুন (http://fri.icfre.gov.in/)। এম এসসি ফরেস্ট্রি-র জন্য জুঅলজি, বটানি, এগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি ইত্যাদির ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারেন।
|
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয
জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও। খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|