খড়দহের কল্যাণনগর হাইস্কুলের পরে এ বার মধ্যমগ্রাম গার্লস স্কুল। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে অকৃতকার্য হয়ে স্কুলের শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে রাখল ছাত্রীরা। সঙ্গে যোগ দিলেন তাদের অভিভাবকেরাও। শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত স্কুল থেকে বেরোতে পারলেন না প্রধান শিক্ষিকা-সহ স্কুলের কোনও শিক্ষিকাই।
স্কুল সূত্রের খবর, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে যথাক্রমে ৮ জন ও ১৯ জন ফেল করে। তাদেরই পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে স্কুলের গেটে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চালাচ্ছিল ওই ছাত্রীরা। সঙ্গে ছিলেন ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও। এর মধ্যে স্কুলের শিক্ষিকারা ওই ছাত্রীদের ডেকে তাদের পরীক্ষার খাতাও দেখিয়েছিলেন বলে স্কুল-কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। প্রধান শিক্ষিকা সুতপা ভট্টাচার্য রবিবার বলেন, “মেয়েদের ডেকে পাশে বসিয়ে খাতা দেখানো হয়েছে। ওই খাতায় আর নম্বর বাড়ানো যায় না। তাই ওদের পাশ করানো যায়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল।”
শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক চলাকালীন ফের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলার দাবি তোলে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা তাদের দাবি মানতে রাজি হননি। এর পরেই তারা ঘেরাও শুরু করে। কোনও শিক্ষিকাই আর বেরোতে পারেননি। ওই ঘেরাও চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
এর পরেই স্থানীয় কয়েক জন এসে শিক্ষিকাদের ঘেরাও মুক্ত করার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি করে সরিয়ে দিয়ে জোর করে শিক্ষিকাদের বার করে নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, ওই নেতা এসে ছাত্রীদের মারধরও করে। এক ছাত্রী মারধরে জখম হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। যদিও পুলিশের কাছে কোনও পক্ষের তরফেই অভিযোগ জানানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিতাভ বসু বলেন, “যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি খুব সভ্য এবং সিপিএম-এর একনিষ্ঠ কর্মী। তাই ওই অভিযোগ ঠিক নয়।”
এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষের বক্তব্য, “পুলিশ ও প্রশাসন থাকতে সিপিএম বিক্ষোভকারীদের সরানোর দায়িত্ব নিল কেন, তা বুঝতে পারছি না।” |