অসিযুদ্ধ
বক্সিং ডে টেস্টেও ধনী-দরিদ্র একাকার
মেলবোর্ন সম্পর্কে অস্ট্রেলীয় পর্যটনের কোনও প্রচারপুস্তিকায় কেন কথাগুলো লেখা নেই কে জানে! অথচ শহরটার ব্যাপারে সামান্য জ্ঞানগম্যি আছে এমন মানুষজন নতুন পর্যটককে শুরুতেই হুঁশিয়ার করে দেবেন। ওহে এই শহরটার অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হল, একই দিনে চারটে ঋতু দেখে ফেলতে পারো। তার জন্য তৈরি না থাকলে অপ্রস্তুত হতে হবে। নব-পর্যটক যদি সাংবাদিক হয়, তা হলে মেলবোর্নকে মানিয়ে কাজ করার জন্য তার নিজেকে সেই ভাবে গোছাতেই হবে।
• টুপি থাকা চাই ব্যাগে। অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্ম মানে সাধারণ ভাবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুরু। আর তেমনই চড়চড়ে রোদ্দুর।
• সানস্ক্রিন লোশন থাকা চাই। হঠাৎ রোদ্দুর এত বেড়ে যাবে যে চামড়া অরক্ষিত থাকলে নির্ঘাত দেশে ফিরেই ছুটতে হবে ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে।
• সোয়েটার থাকা চাই। হঠাৎ হাওয়া শুরু হয়ে গিয়ে তাপমাত্রা এমন নেমে যায় যে শীত করবে।
• ছাতা থাকা চাই। দুমদাম বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।

বড়দিনের বিকেল থেকে এগুলোর সঙ্গে এমন একটা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যোগ হয়ে গেল যে মেলবোর্নিয়ানরাও হতবাক। টিম হোটেলের লবিতে দাঁড়িয়ে রাহুল দ্রাবিড় যখন বলছেন, “উফ আর তর সইছে না। টেস্ট ম্যাচটা শুরু হোক।” তখন তিনি জানেনও না হোটেলের বাইরে কী ঘটছে এবং কেন ঘোলাটে দেখাচ্ছে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন নিরুপদ্রবে পুরো খেলাটা হওয়া!
বাইরে তখন বৃষ্টি মানে কী! রড লেভার এরিনার পাশে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ট্যাক্সিচালক যদি বা জলটা কায়দা করে কাটালেন। কিছু পরে তিনি আর যেতে অস্বীকৃত। বললেন, “কোথাও একটা শেডের নীচে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি। আর ট্যাক্সি যাবে না।” কারণ, গাড়ির ওপর ক্রমান্বয়ে শিল পড়ছে। আর সেগুলো এত বিশাল সাইজের যে সাধারণ শিলের মতো মোটেই ‘স্লিম ফিট’ নয়। গাড়ির এফএমেও তখন বলছে, যথা সম্ভব ইন্ডোরে থাকুন। বাইরে কয়েকটা দুর্ঘটনা হয়েছে। ক্রিকেট বল সাইজের শিলগুলো পড়ে শহরের বেশ কিছু গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে গিয়েছে। সেই কাচের টুকরোয় অনেকে কম-বেশি আহতও হয়েছেন। আবার টিভিতে একই সঙ্গে তখন ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কেতও দিচ্ছে। সতর্ক করছে, বিশাল আকারের সাইক্লোন যার ডারউইনে আছড়ে পড়ার কথা ছিল, তা গতিপথ বদলে ‘হিট’ করতে যাচ্ছে মেলবোর্নকে। বড়দিন উদ্যাপন করবে কী, সন্ধে থেকে শহরের মুড তখন ঘোর আতঙ্কের! গভীর রাতে আবার দেখছি বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। আকাশ পরিষ্কার। মেলবোর্ন এমনই বিচিত্র!
ভরসা থাকুক। রবিবার মেলবোর্নে। ছবি: এ এফপি
প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই আকাশরেখার মধ্যে রাতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল, আবহাওয়ার আকস্মিক বদলের মতোই যদি বক্সিং ডে টেস্টের চালচিত্রও চমকপ্রদ ভাবে বদলে যায়। এই যে সবাই বলছে পরিচিত উত্তাপটা নেই। দু’দলের ঐশ্বর্যে আগেকার সেই হিরে জহরত নেই। কিন্তু ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া কখনও কি খুব ম্যাড়ম্যাড়ে স্তরে নামতে পারে! কিছু না কিছু জল্পনা তো এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে থেকেই যায়। ঐশ্বর্যা রাইয়ের ছেলে হবে না মেয়ে, কয়েক মাস আগে ফেসবুক আর টুইটারের মিলিত এই জল্পনাকে যেমন ছাপিয়ে গিয়েছে সিরিজ সম্পর্কিত ছোট একটা জিজ্ঞাসা।
জাহির খান কি পুরো ফিট?
পিঠোপিঠি আরও একটা প্রশ্ন চালু হয়ে গিয়েছে। ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) ভারতের প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে মন কষাকষি শুরু হতে কতক্ষণ? মাঠে তা অনুসরণ না করা হোক। টিভি চ্যানেল তো নিশ্চয়ই হটস্পট তুলে দিচ্ছে না? জায়েন্ট স্ক্রিনেও তার রিপ্লে দেখাবে। তখন কংক্রিট দিয়ে চর্তুদিকে মোড়া প্রাচীন অ্যাম্ফিথিয়েটারের আবেগ সামলানো যাবে তো?
বিশ্বের প্রাচীনতম মাঠে দু’টো টিমের অনুশীলন দেখতে দেখতে অবশ্য মনে হচ্ছিল এরা কেউ সুসংহত নয়, কারও বোলিংয়ে বড় খুঁত, কারও বড় ব্যাটিংয়ে বড় খুঁত, এ সব নিয়ে যতই বিদ্রুপ হোক, কোথাও গিয়ে টেস্টটা মোটেও দেশ বনাম দেশে সীমাবদ্ধ নেই। সিরিজ জেতা-হারায় নেই। আছে ক্রিকেটের সৎ বনাম অসৎ মনোভাবের লড়াইয়ে!
সোমবার থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজে অংশ নিচ্ছেন বিশ্বক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রথম তিন রানকারী। সচিন, দ্রাবিড়, পন্টিং। টেস্ট ক্রিকেটের একশো তেত্রিশ বছরে এ রকম কিছু ঘটেনি। আছেন সহবাগ। ভবিষ্যতে যদি সর্বোচ্চ রানকারীদের তালিকায় ঢুকে না পড়েন, তা হলে ভয়ঙ্কর আশ্চর্য হতে হবে। সচিনকে যথোচিত শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি গোটা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহল সহবাগ-রোমান্সে ফের মাতোয়ারা হতে চায়। এ মাঠেই না তাঁর সেই ২৩৩ বলে ১৯৫! স্টিভ থেকে চ্যাপেল ভাইয়েরা তাই সবাই বলছেন, নির্ণায়ক হতে যাচ্ছেন সহবাগ!
ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বিক্ষত বছরগুলোর মধ্যে পুরোভাগে থাকা উচিত ২০১১-র। এ বারেই প্রথম কোনও ক্রিকেটার মাঠে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য শুধু কারাবাসই করল না, সমষ্টিগত ভাবে জড়িয়ে গিয়ে মানুষের ক্রিকেটকে দেখার চোখগুলোকেই ঘোলাটে করে দিয়েছে। তা হলে কি ক্রিকেট মানেই সব সাজানো? সব আগে থাকতে বাণিজ্যের বিনিময়ে ঠিক করা?
ক্যালেন্ডার বর্ষের শেষ টেস্ট ম্যাচ এই মনোভাবের বিরুদ্ধেও ক্রিকেটের আত্মিক লড়াই। যে, চাঁদের যদি বা খুঁত থাকে, তা বলে চাঁদ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে না। মহাতারকা চতুষ্টয় এত এত কুড়িয়েছেন ক্রিকেট মাঠ ও জীবন থেকে। অথচ সিরিজ শুরুর আগে তাঁদের বিপন্নতার রকমসকম দেখলে মনে হবে প্রথম দিন শুরু করেছেন। কিছু রান না পেলে পেটের ভাত জুটবে না। মনে হবে ক্রিকেট মানে বাণিজ্য নয়। নীরবে কর্ম করে যাওয়া।
বীরেন্দ্র সহবাগ: আপাতদৃষ্টিতে সবচেয়ে নির্লিপ্ত। এমনিতে ওঁর স্টাইল হল স্ট্রোকের মাঝে হিন্দি গান গাওয়া। শুনলাম কাল নাকি গাইছিলেন, ‘খোয়া খোয়া চাঁদ।’ আজ দিল্লির সাংবাদিক বললেন বীরুকে পরম উৎসাহে গাইতে শুনলেন, ‘ইসকে লিয়ে তো থা ইন্তেজার।’ অর্থাৎ এই মুহূর্তটার জন্যই তো প্রতীক্ষা করে ছিলাম। ভেতরে ভেতরে কিন্তু মারাত্মক সিরিয়াস দেখাচ্ছে। অনুশীলনের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আগের দু’টো সিরিজের ব্যর্থতা যে স্রেফ অপঘাত ছিল, সেটা এ বার তিনি বোঝাবেনই।
রিকি পন্টিং: পরিবার নিয়ে এসেছেন এখানে। দুই বাচ্চা আর স্ত্রীর সঙ্গে হাসিখুশি মেজাজে ক্রিসমাস লাঞ্চ করলেন। বাইরে থেকে দেখাচ্ছেন শক্তপোক্ত কিন্তু ভেতরে জানেন, বিপন্নতার শেষ স্টেশনের দিকে ধাবমান। যে কোনও সময় চেন টেনে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হবে। প্রিয় মাঠ এমসিজি হয়তো শেষ সুযোগ। মিডিয়ায় তাঁর সবচেয়ে জবরদস্ত সমর্থক ছিলেন নামী ক্রিকেট সাংবাদিক ম্যালকম কন। ক্রিকেট মাঠের যাবতীয় বিপর্যয়ে কন সঙ্গে থেকেছেন এবং তাঁর লেখনীকে গুরুত্বও দেন নির্বাচকেরা। সেই ম্যালকম কন লিখে ফেলেছেন সে দিন, ‘রিকি, মহাকাল বলে একটা কথা আছে। যার যার সময় বলে একটা কথা আছে। মেনে নাও সেটা তোমায় ধরে ফেলেছে।’ ভারতীয় বোলিং এবং এত দিনের পেয়ারের অস্ট্রেলীয় মিডিয়া। দু’টো দিক থেকে দু’ধরনের অ্যাটাক খেলবেন বলেই বোধহয় এমন শ্রমিকের মতো খাটছেন পন্টিং। দেখলে কে বলবে এক সময় সসাগরা ক্রিকেটপৃথিবীর তিনি রাজাধিরাজ ছিলেন।
কুশল বিনিময়। রাহুল দ্রাবিড় ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছবি: পিটিআই
রাহুল দ্রাবিড়: সব ব্যাপারে পারফেকশনিস্টের খুঁতখুঁতুনিতে ভোগেন। এ দিন আনন্দবাজারকে জানালেন ব্র্যাডম্যান স্মারক বক্তৃতা তৈরি করেছিলেন প্রায় একমাস ধরে। পাঁচ-ছ’জনের থেকে ব্র্যাডম্যান সম্পর্কে ‘ইনপুট’ জোগাড় করেছেন। বই পড়েছেন। তার পর তৈরি করেছেন নিজের বক্তৃতা। কথা বলেছেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ-র সঙ্গেও। বক্তৃতার যেখানে রয়েছে ব্র্যাডম্যান যে দিন লর্ডসে ইংরেজদের ফাটিয়ে ২৫৪ করলেন, সে দিনই ভারতে ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করল নেহরুকে। এই জায়গাটা যেমন রামচন্দ্র গুহ। গোটা ক্রিকেটপৃথিবী যখন তাঁর ব্র্যাডম্যান স্মারক বক্তৃতার ধন্য ধন্য করছে তখন রাহুল সামান্য আফসোসে। ওবামা জাতীয় রাজনীতিবিদেরা যেমন টেলিপ্রম্পটারে একটা লাইন দেখামাত্র গড়গড় করে পুরো প্যারাগ্রাফটা পড়ে যেতে পারেন, রিহার্সালে রিহার্সালে এমনই মুখস্থ থাকে তাঁদের। সেটা তিনি রাহুল যে পারলেন না, তার আফসোস। এই মানুষটি যে অস্ট্রেলিয়ায় শেষ সফরে এসে আগের বারের ক্রিজযন্ত্রণাগুলো সাফ করে ফেলতে চাইবেন বিচিত্র কী! টেস্টে দ্রাবিড়ের ৩৬ সেঞ্চুরির মাত্র দু’টো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটা নব্বইয়ের ঘরে রান থেকেও গড় ৪১। এ বার নতুন সফর। নতুন হিসেব। এই প্রতিজ্ঞা দ্রাবিড়ের চোখেমুখে ঠিকরে বার হচ্ছে। বক্তৃতা দিয়ে শুরু। বাউন্ডারিতে শেষ হোক এটাই যেন সংকল্প!
এবং সচিন তেন্ডুলকর! এ দিন প্র্যাক্টিসে তিনি বেশ তোলপাড়ই ফেলে দিলেন একটা নির্দিষ্ট কমলা রঙের বল ইন্ডোর হলে দেওয়া হচ্ছিল না বলে। বলেন যতক্ষণ ওই বলটা প্রচুর পরিমাণে না আসে, তিনি অনুশীলন করবেন না। সবুজ বলে তাঁর চলবে না। তেন্ডুলকর বলে কথা! অস্ট্রেলীয়রা শশব্যস্ত হয়ে ঘর্মাক্ত কলেবরে বল নিয়ে এল। এর পর ইন্ডোরে বোলিং মেশিনের সামনে সচিন পড়ে থাকলেন ঘণ্টাদু’য়েক। রোহিত শর্মাকে মধ্যিখানে কিছু দেখিয়ে-টেখিয়ে দেওয়া ছাড়া আগাগোড়া নিজে ব্যাট করছিলেন। বড়দিন-হোটেলে তাঁর পরিবার তাঁদেরও আজ কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে, এ সব কোনও ব্যাপারই না! জীবনে একটাই মাস্তুল ক্রিকেট। তার পাশে সব তুচ্ছ। কৌতূহল থাকায় জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, কমলা বল চাহিদা ছিল কেন? এড়িয়ে গেলেন প্রশ্নটা। টিমের সঙ্গে যাকে থ্রো করার জন্য বেঙ্গালুরু থেকে আনা হয়েছে সে অবশ্য কারণটা জানাল। সবুজ বলটা হেভি। কমলাটা লাইট। তাই বেশি সুইং করে। উনি চাইছিলেন অফস্টাম্পের বাইরে বাইরে সুইংটা ক্রমাগত খেলতে। কিন্তু বাইশ বছর ক্রিকেট খেলে ১৫ হাজার রান করার পরেও আজ এত মরণপণ প্র্যাক্টিস? সচিন নির্লিপ্ত মুখে আনন্দবাজারকে বললেন, “আজকেরটা খুব কম হয়েছে। পরের দিন বাড়াব।” শুনে এমনই বিস্ফারিত লাগল যে পরের প্রশ্নটা করতেই ভুলে গেলাম!
পাশ্চাত্যে বক্সিং ডে-র মাহাত্ম্য হল ধনী-দরিদ্র আত্মিক ভাবে একই মেরুতে থাকবে। ধনীরা এ দিনই বাক্স করে বিলিয়ে দেয় তাদের উদ্বৃত্ত নানান উপহার। দোকানে সবচেয়ে বেশি শতাংশ ‘সেল’ দেওয়া হয়। টেস্টেও যেন তারই ছোঁয়া। ধনী এবং দরিদ্র সিরিজ শুরুর আগে একই ‘সেন্টিমেন্টে’। শন মার্শ আর রিকি পন্টিংয়ে তফাত নেই। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর তেন্ডুলকরেও না। ক্রিকেটের অবশ্য বক্সিং ডে বলে নয়, প্রতিদিনকার শিক্ষাই সাম্যবাদের। তুমি যত হাজার রানই বাড়িতে রেখে আসো, মাঠে আবার তোমার খাতায় প্রতিদিন শূন্য থেকে শুরু। ক্রিকেটের মাহাত্ম্যই হল, তা ডিজাইনার নয়। তার রি-টেক নেই। সচিনের মতো কিংবদন্তিও সেখানে ব্যর্থতা থেকে সব সময় এক বল দূরে!
কোথাও যেন মনে হচ্ছে সততার এই শুভ্র জৌলুসের পাশে ম্লান হয়ে যাবে লন্ডনের কারাগারে থাকা সলমন বাট-মহম্মদ আসিফদের ডিজাইনার বৃত্তান্ত। একই ক্যালেন্ডার বর্ষে সৎ বনাম অসৎ-এর চূড়ান্ত যুদ্ধে। আর তা কি না ঘটছে বিশ্বের প্রাচীনতম মাঠে। প্রথম যেখানে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মৌলিক ক্রিকেট সংস্কৃতি ধর্মযুদ্ধে জিতে কি আবার বিলীন হয়ে যাবে প্রাচীন সভ্যতার উৎসমুখে? ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া প্রথম বল পড়ার আগে যতই অন্য বারের মতো কড়কড়ে না লাগুক। ক্রিকেট যে তার সবচেয়ে বড় দার্শনিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে পড়ল!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.