সম্পাদক সমীপেষু...
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তো মাওবাদীদেরই
মাননীয় সুজাত ভদ্র ও অন্যদের চিঠির (১৯-১২) পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলা দরকার। মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃত্যুর পরদিনই তাঁর দেহ শনাক্ত করে জন্মভিটে করিমনগরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিষেণজির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসেছিলেন কবি ভারভারা রাও এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সিভিল লিবার্টি কমিটির সম্পাদক সি এইচ চন্দ্রশেখর। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে এপিডিআর-সহ কিছু মানবাধিকার সংগঠনের সভায় দাঁড়িয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন, আর এক মাওবাদী নেতা আজাদের মতোই কিষেণজিকে কথার জন্য ডেকে ভুয়া-সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে। আলোচনায় ডাকার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের দিকেও তাঁরা আঙুল তোলেন।
সরব। বৌবাজার-এর সভায় ভারভারা রাও এবং কিষেণজির ভাইঝি দীপা। ২৫ নভেম্বর, ২০১১।
সুজাতবাবু আরও বলেছেন, ‘আলোচনার জন্য কিষেণজিকে ডেকে আনা হয়েছিল, রাজ্য সরকারের উপর বিশ্বাস করে উনি লোকালয়ের কাছাকাছি এসেছিলেন’ এমন কোনও কথা মাওবাদীদের বিবৃতিতে নেই। কিষেণজির মৃত্যুর পরে ২৫ নভেম্বর মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে অভয় ইংরেজিতে লেখা তিন পাতার একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিবৃতিটি প্রতিবেদকের কাছে আছে। তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে কোটেশ্বর রাও-কে (কিষেণজি) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গ্রেফতার করে। তার পরে তাঁকে হত্যা করা হয়। ঠিক যে ভাবে ২০১০ সালে ১ জুলাই আজাদকে আলোচনার জন্য ডেকে হত্যা করা হয়েছিল।
কিষেণজির মৃত্যুর পর পিইউডিআর-এর গৌতম নওলাখা ছাড়াও এপিডিআর, বন্দি-মুক্তি কমিটি, অন্ধ্রপ্রদেশ সিভিল লিবার্টি কমিটির নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। পরে তাঁরাও সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, এ ঘটনা মাওবাদী নেতা আজাদের মৃত্যুরই পুনরাবৃত্তি বলে মনে হচ্ছে।

বাস কম, বাস বেশি!
এখনও সি এস টি সি-র বহু বাস রুটে বাসের অভাব। ডানলপ থেকে করুণাময়ী/S D F যেতে ভরসা সেই ২০১, ৩২-এ। বেশির ভাগ বাস বাইপাস দিয়ে যায়। কিন্তু সেক্টর ফাইভে যাতায়াত করতে গিয়ে ১) অফিস টাইমে প্রবল ভিড় ২) পকেটমারের উপদ্রব ৩) কর্মরত মহিলা যাত্রীদের হেনস্থা সহ্য করতে করতে মনে হয়, এক দিকে লোকসানে চলা সরকারি পরিবহণ, অন্য দিকে কিছু রুটে চাহিদা সত্ত্বেও বাসের অভাব। সরকার কি ন্যূনতম পরিবহণ পরিকাঠামোটুকু দিতে পারে না?

জরাজীর্ণ কামরা
আতঙ্ক! রেল-কামরা।
পর‌্যাপ্ত কামরা হাতে না-থাকলেও একের পর এক উদ্বোধিত ট্রেন চালু করতে গিয়ে কার্যত মর্গে পড়ে-থাকা কামরাগুলিকেও বাধ্য হয়ে লাইনে চালানো হচ্ছে। পরিণামে, একই কামরা ৪/৫টি রুটে চলছে চব্বিশ ঘণ্টাই। তাদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করার কোনও সময় নেই। ফলে নানা সময় জানলাহীন, ছাদহীন, দরজা বিহীন টয়লেট নিয়েই ছুটছে কামরাগুলি। যাত্রীসাধারণের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।

পরিবর্তন!
বাংলার সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেই আঠারো মাসে বছর আর মানুষের হয়রানির শেষ নেই। আমি একজন বয়স্ক নাগরিক। আমার রেশন কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ৬ জুলাই সল্টলেকে বিকাশ ভবনে রেশন অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে একটি আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দেওয়ার পর, আমাকে ফর্মের কাউন্টার ফয়েল দিয়ে লিখে দিল ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে বেলা ২-৩০ মিনিটে দেখা করতে। আমি এক মাস পরে ২০ অক্টোবর তারিখে রেশন অফিসে গিয়ে দেখা করলাম। তিনি জমা দেওয়া কাগজপত্র দেখে বললেন, আর একটি ঠিকানা পরিবর্তনের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। পরের দিন প্রমাণ পত্রটি জমা দিলাম। বলা হল, এক মাস পরে দেখা করতে। ওই দিনই নতুন কার্ড দেওয়া হবে। যথারীতি ২৪ নভেম্বর রেশন অফিসে গেলাম। করণিক মহাশয় আমার জমা দেওয়া কাগজপত্র খুঁজে পেলেন না। বলা হল, আর একটা ফর্ম জমা দিতে। আমি ৩০ নভেম্বর রেশন অফিসে গেলাম। কিন্তু ফর্ম পেলাম না। কারণ, যার কাছ থেকে কাগজ হারিয়েছে তিনি সে দিন ছিলেন না। আমি R O সাহেবের সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি আমার নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে বললেন, হয়ে যাবে। গত ১২ ডিসেম্বর R O সাহেবের সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। তিনি অপারগ হয়ে বললেন, আমাকে নতুন ফর্ম আবার জমা দিতে হবে।
সাধারণ একটি রেশন কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য যদি একজন বয়স্ক নাগরিককে পাঁচ বার বিকাশ ভবনে দেখা করতে যেতে হয়, বোঝা যায়, দফতরের কাজকর্মের নমুনা কী!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.