|
|
|
|
উষ্ণতার সন্ধানে রং মিলান্তি সাজ |
পরমা দাশগুপ্ত |
একাধিক পোশাকের ‘লেয়ার্ড লুক’ কিংবা ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’-এর রং মিলান্তি। জাঁকিয়ে বসা শীতের শহরে সাজের সংজ্ঞা এখন এটাই।
ডিজাইনার থেকে বিক্রেতা, সকলেই বলছেন তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এ মরসুমে একটা ভারী শীতপোশাকের বদলে একাধিক হাল্কা পোশাক চাপাতেই পছন্দ করছেন। জিন্সের সঙ্গে মোটা টিশার্টের উপরে মানানসই রঙের সোয়েট শার্ট, কনকনে ঠান্ডায় তার উপরে জ্যাকেট। কলেজ থেকে অফিসপাড়া, শপিং মল থেকে সিনেমাহল এ সাজেই অভ্যস্ত ষোলো থেকে ছত্রিশ। আর এক দল রং মেলানো সাজেই বিশ্বাসী। কালো, গাঢ় নীল, ঘন সবুজ একরঙা পোশাকের সঙ্গে রংবাহারি স্টোল বা শালে মজছেন কেউ। কেউ বাছছেন হাল্কা ও গাঢ় রঙের মিশেল কখনও কনস্ট্রাস্ট, কখনও ভিন্ন শেডে।
কমবয়সীদের এই ‘লেয়াডর্’ বা ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ সাজটাকে বেশ পছন্দই করছেন ডিজাইনার জুটি দেব আর নীল। তাঁদের কথায়, “ছেলেদের একরঙা টিশার্টের উপরে সোয়েট শার্ট, জ্যাকেট, জাম্পস্যুট কিংবা মেয়েদের নানা রঙের কেপ, স্টোল এখানে ফ্যাশনে বেশ ‘ইন’। |
|
ডেনিমের সঙ্গে সলিড কালারের সোয়েটার-পুলওভার-জ্যাকেটের সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের টপ বা শার্টের ক্যাজুয়াল সাজেও দিব্যি ভাল লাগে সবাইকেই। পরা যায় সাদা-কালো, কালো-হলুদ, গোলাপি-বেগুনির কম্বিনেশন। রংবেরঙের চেক-স্ট্রাইপের স্টোল, মাফলার, স্কার্ফ সাজে আলাদা মাত্রাও আনে, স্মার্টও লাগে।” আর এক ডিজাইনার চৈতালী দাশগুপ্ত অবশ্য জ্যাকেটের পক্ষে। তাঁর কথায়, “জ্যাকেটটা এমন জিনিস, যাতে ঠান্ডাও আটকায় আবার সবের সঙ্গেই পরে ফেলা যায়। নানা রঙের স্কার্ফ, মাফলারের চলটাও এখন বেশি।”
একটি পোশাক বিপণি চেনের বিভিন্ন স্টোরে হুডওয়ালা সোয়েট শার্টের দিকেই ঝোঁকটা বেশি। শীত জাঁকিয়ে বসতেই বাড়ছে লম্বা জ্যাকেটের চাহিদাও। ছেলেদের পছন্দে এ বারও কালো এবং নীল, সঙ্গে চেক্স বা স্ট্রাইপ। মেয়েরা লম্বা বা ছোট ঝুলের জ্যাকেট ও লেয়ারিং-এর জন্য নানা রঙের স্লিভলেস কেপ চাইছেন বেশি। সোয়েট শার্টে তাঁদের পছন্দ ফ্লোরাল বা গ্রাফিক প্রিন্ট। আর রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল লাল। শীতের শুরুতে উলের টপ, মাল্টিকালার্ড প্রিন্টেড ও ডাই করা স্টোলেরও চাহিদা ছিল ভাল।
নিউ মার্কেটের একটি দোকানে ছেলেদের সোয়েটারে ডায়মন্ড বা কেব্লের ডিজাইন চলছে ভাল। মেয়েদের ক্ষেত্রে চাহিদা বেশি চেনওয়ালা হুডেড সোয়েটার, লম্বা ঝুলের সোয়েটার এবং ছোট ঝুলের গোলগলা পুলওভারের। দোকানের কর্মী নজরুল নস্কর জানালেন, কমবয়সীরা চাইছেন কলারওয়ালা কাউল নেকের সায়েটার, ডিজাইনার উলের টপ, ছোট ঝুলের হুডওয়ালা জ্যাকেট। নানা রঙের স্ট্রাইপ এবং কালো, লাল, সবুজ, নীলের বিভিন্ন শেডের চাহিদাই বেশি। গড়িয়াহাটের একটি দোকানেও জ্যাকেটের চেয়ে স্ট্রাইপ ও প্রিন্টেড সোয়েটার, কার্ডিগানের চাহিদাই বেশি। কালো ফুলহাতা লম্বা সোয়েটারই মেয়েদের প্রথম পছন্দ, জানালেন কর্মী শ্যামল দাস। তবে, এ দোকানেও তরুণরা খুঁজছেন সলিড কালারের উপরে অল্পস্বল্প প্রিন্টের সোয়েট শার্ট। নানা রঙের টুপি, স্টোলের চাহিদাও ভাল। গড়িয়াহাটেরই আর এক পোশাক বিপণিতে কালো, নীল, সবুজ চেনওয়ালা পুলওভার, কার্ডিগান ও লম্বা ঝুলের সোয়েটারে মজেছেন ক্রেতারা। আচমকা ঠান্ডার দাপটে হুডেড পুলওভার-জ্যাকেটের চাহিদাও বাড়ছে হু হু করে। সঙ্গে বাড়ছে নানা রঙের উলের টুপির কদর, জানালেন দোকানের কর্মী প্রবীর দাস। |
|
আনোয়ার শাহ রোড এবং বাইপাসের দুই শপিং মলের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দোকানে অবশ্য ছেলেদের লেয়ার্ড পোশাকের চেয়ে ঘন নীল, কালোর উপরে নানা রঙের স্ট্রাইপ্-চেকের পুলওভার এবং উজ্জ্বল রঙের চেনওয়ালা জ্যাকেট বা স্পোর্টি জ্যাকেটের চাহিদাই বেশি। মেয়েরা চাইছেন সাদা, কালো, নীল, চেরি, লাল, বেইজের শেডে ছোট ঝুল বা হুডেড জ্যাকেট। সোয়েট শার্টেরও কদর আছে। কনকনে ঠান্ডায় ভালই বিক্রি প্যাডেড জ্যাকেট, স্কাল কাপ বা উলের টুপিরও।
এই শীতেও ভারতীয় সাজই টানলে সর্বত্র মিলছে চাদর, শাল, কাশ্মীরি পোশাক। নিউ মার্কেটের একটি দোকানে কালোর উপরে নানা রঙের সুতোয় ভরাট কাশ্মীরি কাজের কোটের এ বার বাজার ভাল বলে জানালেন ফৈয়াজ এ খান। বরাবরের মতো মাল্টি কালার্ড স্টোল, শাল আর ফিরানও রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়।
শুধু ঠান্ডায় কাঁপার নয়, এ মরসুম উদ্যাপনেরও। পার্টি-পিকনিকে জমিয়ে সাজতে হবে। দেব আর নীলের পরামর্শ: “এমন পোশাক বাছুন, যাতে শীতও মানে। পার্টিতে তাই শিমার, বিড্স, সিকুইনের কাজ করা সোনালি-রুপোলি পোশাক কিংবা সলিড কালারের উপরে সোনালি জরির কাজের পোশাকের সঙ্গে লম্বা উলের জ্যাকেটও পরুন। হাঁটুঝুলের পার্টিওয়্যারের সঙ্গে নানা রং ও প্যাটার্নের স্টকিং-লেগিংসে ভাল দেখাবে। একরঙা পোশাক হলে সঙ্গে একটা জমকালো স্টোল, ব্যস।” হিমেল সন্ধ্যায় উষ্ণতার খোঁজে একটু ঝলমলে হলেই বা ক্ষতি কী! |
আগুন প্লাস্টিক জঞ্জালে, আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা |
লেক টাউনের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় প্লাস্টিক ও রবারের বর্জ্যে ভর্তি জঞ্জালের স্তূপে আগুন ধরে যাওয়ায় রবিবার রাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, ধোঁয়ায় আশপাশের বাসিন্দারা বেশ কিছু ক্ষণ শ্বাসকষ্টে ভোগেন। ধোঁয়ায় দক্ষিণদাঁড়ি ছাড়াও পল্লিশ্রী, নতুনপল্লির লোকজনও অসুবিধায় পড়েন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওখানে একটি বড় আঁস্তাকুড় আছে। কে বা কারা সেখানে মাঝেমধ্যেই আগুন লাগিয়ে দেয়। |
|
|
|
|
|