টুকরো খবর |
দুই বিদেশি ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বারাসতে এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনায় দুই বিদেশিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতেরা হল, ওসিতাডিনমা পিটার ও এনিনিম এবুকা। শনিবার দিল্লির মুখার্জী নগর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দুই বিদেশি নাইজেরিয়ার বাসিন্দা বলে জানান সিআইডি কর্তারা। সম্প্রতি বারাসত থানা এলাকায় এসএমএসের মাধ্যমে ৬০ লক্ষ টাকার প্রতারণার ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে সিআইডি ওই দুই ব্যক্তির সন্ধান পায়। সম্প্রতি তাদের খোঁজে দিল্লিতে হানা দিয়েছিল সিআইডির একটি দল। ধৃতদের কলকাতায় আনা হচ্ছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। |
প্রহৃত ব্যক্তির মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বারাসতের সুকান্তপল্লিতে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ১৩ দিন হাসপাতালে থাকার পরে শনিবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে সঞ্জীব ভট্টাচার্য (৪৮) নামে ওই ব্যক্তির। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সঞ্জীববাবুর পরিবারের অভিযোগ, এলাকার কিছু যুবক ওই নির্মীয়মান বহুতলটির মালিকের কাছে টাকা চেয়েছিল। প্রতিবাদ করেন সঞ্জীববাবু-সহ এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বহুতলটির অফিস ঘরের সামনে বসেছিলেন সঞ্জীববাবু। তখন ৫-৬ জন যুবক তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাত লাগে সঞ্জীববাবুর। প্রথমে তাঁকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধরের ঘটনায় যুক্ত যুবকেরা নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত। পুলিশের দাবি, সঞ্জীববাবুদের বিরুদ্ধেও হামলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন অভিযুক্তেরা। |
ব্যারাকপুরের কারখানায় লুঠ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখে কারখানা থেকে মালপত্র নিয়ে পালাল এক দল দুষ্কৃতী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ব্যারাকপুরের কাছে মাতারাঙ্গীতে। পুলিশ জানায়, রাত একটায় জাহাজের সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় ঢোকে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী। কারখানার মালিক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা রক্ষীদের আটকে রাখে। বেশ কয়েকটি মূল্যবান যন্ত্রপাতি নিয়ে পালায়।” |
স্কুল ও মন্দিরে চুরি বনগাঁয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
বনগাঁ মহকুমার একটি স্কুল ও মন্দিরে চুরি হল শুক্রবার গভীর রাতে। চাঁদা ললিতমোহন হাইস্কুলের কোলাপসিবল গেট ভেঙে ঢুকে দুষ্কৃতীরা প্রধান শিক্ষকের ঘর এবং অফিস-ঘরের তালা খুলে কয়েকটি কম্পিউটার মনিটর, কি-বোর্ড এবং ইউপিএস চুরি করে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক দিলীপ মণ্ডলের ঘরের ড্রয়ার থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকাও চুরি হয়। শনিবার সকালে এক কর্মী স্কুলে গিয়ে চুরির বিষষটি টের পেয়ে প্রধান শিক্ষককে জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। অন্য চুরির ঘটনাটি ঘটে গাইঘাটার চাঁদপাড়ার সিংজোল এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা ভোলা সাহার বাড়ির মনসা মন্দিরের তালা খুলে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বিগ্রহের কয়েক ভরি সোনা-রুপোর অলঙ্কার চুরি করে। শনিবার সকালে ভোলাবাবুর পরিবারের লোকজন মন্দিরে গিয়ে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন। পুলিশ তদন্তে আসে। পুলিশ জানায়, দু’টি ঘটনাতেই যুক্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। |
স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে
খুনের চেষ্টা, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার পুলিশ। শনিবার সকালে জীবনতলার হাওড়ামারি এলাকার বাসিন্দা আবুল ফারাক পিয়াদা নামে ওই দুষ্কৃতীকে তার বাড়ি থেকে ধরে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর রাতে জীবনতলার কেউটিপাড়ার বাসিন্দা দুরন্ত মণ্ডল নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে দুষ্কৃতীদের কবলে পড়েন। ৬ দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে তাঁর পথ আটকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চায়। তিনি ব্যাগ দিতে না চাইলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। গুলি তাঁর মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এক দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা। ওই দুষ্কৃতী মারা যায় হাসপাতালে। |
বধূর অপমৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
অগ্নিদগ্ধ এক বধূর মৃত্যু হল আরামবাগ হাসপাতালে। আরামবাগের আসনপুর গ্রামের বাসিন্দা ঝুমা সিংহকে (২৫) গত ৫ ডিসেম্বর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তির সময়েই তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অসুস্থতার কারণে ওই মহিলা নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। |
ব্যাঙ্কে আগুন, নথিপত্র ছাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জগাছার মহিয়াড়ি রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন লাগে। দমকল ও পুলিশ জানায়, ভোর ৪টে নাগাদ আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ও দমকলে খবর দেন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি কম্পিউটার এবং অন্যান্য জিনিস পুড়ে গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে যাওয়াতেই ক্ষতি হয়েছে বেশি। দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাস গুহ বলেন, “কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়।” |
|