চিঠি নিয়ে হাজির পিওন। কিন্তু সেই চিঠি নেওয়ার মতো কেউ নেই বাড়িতে। বারবার গিয়েও ফিরতে হয় পিওনকে। তাই এ বার এসএমএস-এ গৃহস্থকে জানিয়ে তাঁর কাছে জরুরি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক দফতর। কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প। সেই সঙ্গে দ্রুত চিঠি বিলির জন্য জার্মানি থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে বিশেষ যন্ত্র। এর মাধ্যমে দৈনিক আট লক্ষ চিঠি ‘শর্টিং’ বা বাছাই করা যাবে। কিন্তু এসএমএস করতে হলে তো মোবাইল নম্বর জানতে হবে। ডাক বিভাগ তা জানবে কী ভাবে? বৃহস্পতিবার ডাক-কর্তৃপক্ষ জানান, বাড়িতে রেজিস্টার্ড চিঠি, মানি অর্ডার প্রভৃতি দিতে গিয়ে কাউকে না-পেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই পিওনকে ফিরে আসতে হয়। কাজের চাপে বারবার পিওনের পক্ষে একই বাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই ‘টেক্সট সেভার’ নামে একটি প্রকল্প রূপায়ণের চেষ্টা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ‘বিট’ বা এলাকা ধরে ধরে বাসিন্দাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হবে। প্রতিটি পাড়ার আবাসিকদের সেই নম্বর ও তথ্য নিয়ে তৈরি করা হবে ‘ডেটা ব্যাঙ্ক’। সর্বত্র একসঙ্গে কী ভাবে এই প্রকল্প চালু করা যাবে? ডাক বিভাগ বলছে, একসঙ্গে নয়। কাজটা হবে ধাপে ধাপে।
|
কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অভিযোগ শোনার জন্য রাজ্য উপভোক্তা দফতর (যা আগে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর বলে পরিচিত ছিল) চালু করল হেল্পলাইন। ওই নম্বরটি হল ১৮০০৩৪৫২৮০৮। সরকারি কাজের দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ওই হেল্পলাইন চালু থাকবে। শনিবার কলকাতায় ওই পরিষেবার উদ্বোধন করে এ কথা জানান রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। এ দিন জাতীয় উপভোক্তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ওই পরিষেবার সূচনা করে উপভোক্তা বিভাগ। ক্রেতাদের সচেতন করার জন্য রবীন্দ্রসদনে ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “কেনাকাটা করতে গিয়ে বা টাকার বিনিময়ে পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই ঠকেন। হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানালে, প্রতিকারের ব্যবস্থা করবে উপভোক্তা দফতর।”
|
ন্যায্য দামে কৃষিপণ্য কেনার ব্যবস্থা করা-সহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবার দুপুরে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় পথ-অবরোধ করল চাষিরা। ধনেখালি, শিয়াখালা, সিঙ্গুর, চাপাডাঙ্গা, পাণ্ডুয়া-সহ জেলার ১০-১২টি জায়গায় অবরোধ হয়। ধনেখালির মহেশ্বরপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে আলু ছড়িয়ে দেন অবরোধকারীরা। তাঁদের দাবি রাজ্য সরকারকে ন্যায্য মূল্যে ফসল কিনতে হবে। সারে কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। ধান কেনার ক্ষেত্রেও অনিয়ম হচ্ছে বলে চাষিদের অভিযোগ। অবরোধস্থলে কোনও ব্যানার না থাকলেও সিপিএমের কৃষক সভার মদতেই ওই আন্দোলন হয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। একই দাবিতে বর্ধমানের কাটোয়া, জাজিগ্রাম, কুরচি ও আখড়া এলাকাতেও ঘণ্টা খানেক পথ অবরোধ করেন চাষিরা। |