সবুজায়নের দিকে নজর দিক সরকার
সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে শ্রীরামপুর পুরসভা থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। যার ভিত্তিতে সরকারের পরিবেশ বিষয়ক উদাসীনতাই প্রমাণ হয়। শ্রীরামপুর পুরসভার অন্তর্গত ১০টি উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে সাকুল্যে ৯ হাজার টাকা অনুদান পাওয়া যায়। এই সামান্য টাকায় রক্ষণাবেক্ষণের কোনও কাজই সম্ভব নয়, বলাইবাহুল্য। যখন বর্তমান উদ্যানগুলির রক্ষণাবেক্ষণই ঠিকঠাক সম্ভব নয়, তখন নতুন উদ্যান সৃষ্টি করার যৌক্তিকতা কোথায়, এর উত্তরে পুরসভা তার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়েছে। এমতাবস্থায় এক জন শ্রীরামপুরবাসী হিসাবে আমার প্রশ্ন, যখন চারদিকে পরিবেশ নিয়ে এত তৎপরতা, সবুজ সংরক্ষণে এত আন্দোলন, ঠিক সে সময়ে ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামপুর শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ সবুজায়নের বদলে অবহেলিত কেন? মাননীয় পুরপিতা এবং বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে একান্ত আবেদন, পৌরসভার অন্তর্গত উদ্যানগুলিকেও ঢেলে সাজা হোক। নতুন করে বৃক্ষরোপণ করে সবুজায়ন হোক। যদি শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য সুবজ আরক্ষকবাহিনী (গ্রিন পুলিশ) মোতায়েন করা যেতে পারে, তবে শহরের সবুজ সংরক্ষণের জন্য সবুজ পরিবেশ বাহিনীও নিয়োগ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে নাগরিকদের পরিবেশ সচেতনতাও বাড়বে।
গাদিয়াড়াকে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগ চাই
গাদিয়াড়া পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপ করছে না হাওড়া জেলা পরিষদ। এত বড় একটা পর্যটনকেন্দ্র এই গাদিয়াড়া নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখনও পর্যন্ত সৌন্দর্যায়নের জন্য এখানে কোনও পার্ক তৈরি করা হল না। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই পর্যটনকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। আগে গাদিয়াড়া থেকে কলকাতাগামী সিএসটিসি-র শেষ বাস রাত ৮টার পর ছাড়ত। এখন ওই সরকারি বাস বিকেল ৫টার পরে বেরিয়ে যায়। কলকাতা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে এই পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু রাত হয়ে গেলে ফিরবেন কী করে, সেই চিন্তায় বিকেল গড়াতে না গড়াতেই নিরুপায় যাত্রীরা ফিরে যান। পর্যটক টানতে জেলা প্রশাসন উদাসীন।
সব বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হোক আবর্জনা
চাঁপদানি পুরসভার অন্তর্গত কিছু কিছু বাড়িতে কিছু দিন আগে পুরসভার পক্ষ থেকে আবর্জনা রাখার দু’টি করে প্লাস্টিকের পাত্র দেওয়া হয়েছিল। একটিতে পচনশীল অন্যটিতে অপচনশীল আবর্জনা রাখার কথা। সারা দিন ধরে বাড়ির যাবতীয় ময়লা জমিয়ে রাখা হয় ওই দু’টি পাত্রে। পর দিন ভোরে পুরসভার সাফাই কর্মীরা এসে বাঁশি বাজিয়ে ওই ময়লা নিয়ে যান। কিন্তু এই ব্যবস্থা পুরএলাকার সমস্ত বাড়ির জন্য চালু করা হল না কেন? কেন এই বৈষম্য? এই পদ্ধতিতে আবর্জনা সংগ্রহ খুবই ভাল একটি প্রক্রিয়া। বিষয়টি প্রতি ওয়ার্ডের সব বাড়িতে চালু হলে ভাল। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুরপ্রধান এবং কাউন্সিলরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
রাস্তা পাকা করা দরকার
শিয়াখালা পঞ্চায়েতের অধীন পাকা সড়ক থেকে জলাসঙ্গল ঘুরে একটি পথ গুড়পাড়ার দিকে গিয়েছে। বহু কাল পূর্বে এখানে গুড় তৈরির বিশাল কর্মকাণ্ড চলত। তাই পাড়ার এই নাম। গুড়পাড়ার শেষপ্রান্ত ছুঁয়েছে মাঠের পথ। এই এলাকা থেকে এক দিকে কৃষ্ণনগর বিদ্যালয় পর্যন্ত এবং অন্য দিকে, ডিভিসি খালের পাশ দিয়ে আঁইয়া পঞ্চায়েতের অধীন বাঁদপুর মোলল্লাপাড়ায় ডিভিসি পুলের সীমানা পর্যন্ত মোরাম রাস্তা ছিল। এখন ইট উধাও পথের অনেকটা অংশে। সাইকেল চালানোও মুশকিল। অথচ, পথটির গুরুত্ব এলাকার মানুষের কাছে খুবই বেশি। কৃষ্ণনগর বাঁদপুর পথ এখনই পাকা করা জরুরি।
ট্র্যাফিক পুলিশ রাখা হোক
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং চুঁচুড়া-ধনেখালি জেলা সড়কের সংযোগস্থল মহেশ্বরপুর বাসস্ট্যান্ড দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ফ্লাইওভার এবে বাইপাস রোড নির্মাণের ফলে ২০-২৫ মিটারের মধ্যে দু’দু’টি চৌমাথা তৈরি হয়েছে। অফিস টাইমে এবং স্কুলের ছুটির সময়ে এই জায়গায় ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা দরকার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.