সরকারি দরে ধান কেনার ব্যবস্থা-সহ ৯ দফা দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর জুড়ের বিভিন্ন এলাকায় বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাল ফরওয়ার্ড ব্লক। মালদহ থেকে কোচবিহার, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বিক্ষোভ হয়। পরে বিডিও-র হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হয়। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ও ২ নম্বর ব্লকে স্থানীয় বিধায়ক তজমূল হোসেনের নেতৃত্বে ওই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়িতে দলের কয়েকশো সমর্থক মিছিল করে বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দেন। কোচবিহারের দিনহাটায় সমর্থকেরা লাঙল, ধানের চারা, পাটের গোছা নিয়ে বিডিও অফিসে জমায়েত হন। ধানের বস্তা, পাটের গোছায় আগুনও লাগান তাঁরা। দলের রাজ্য নেতা তথা কোচবিহারের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “বর্তমান রাজ্য সরকার গরিবের স্বার্থ দেখছেন না। ধানের দাম না-পাওয়া তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। দ্রুত সমস্যা না-মিটলে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।” |
হলদিবাড়িতে এদিন আন্দোলনকারীরা কাঁচামালের বাজার বিকেন্দ্রিকরন করা এবং সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের জমিতে বিকল্প চাষের জন্য গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান। অগ্রগামী কিসান সভার ব্লক সম্পাদক কমল রায় বলেন, “কৃষকেরা কার কাছে ধান বিক্রি করবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। এই সুযোগে দালালরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা অবিলম্বে সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছি।” হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক বলেন, “এ বছর একেই ফলন কম হয়েছে। তার উপর চাষিরা যদি সঠিক দাম না পায় কৃষকদের পথে বসতে হবে। সমস্যা না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দার্জিলিং জেলার সভাপতি করুণাময় চৌধুরী বলেন, “সমস্ত উৎপাদন সামগ্রীর দাম বেড়েছে। অথচ কৃষকেরা বাজারে গিয়ে দাম পাচ্ছেন না। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। রাজ্য সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে সর্বত্র সরকারি ধরে ধান কেনার ব্যবস্থা করতে হবে।” |