|
|
|
|
৩টি নার্সিংহোমকে শো-কজ করল জলপাইগুড়ি পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
‘ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট’ না-থাকায় জলপাইগুড়ির ৩টি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিচ্ছে পুরসভা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু এ কথা জানান। আজ, বুধবার ওই ৩টি নার্সিংহোমের মালিকপক্ষকে ‘শো-কজ’ নোটিস পাঠিয়ে পুরসভা জানতে চাইবে, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না-থাকার কারণে কেন তাদের ট্রেড লাইসেন্স সাময়িক ভাবে বাতিল করা হবে না? মোহনবাবু বলেন, “তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ না-করলে সাময়িক ভাবে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, সোমবার শহরের নার্সিংহোমগুলির আগুন প্রতিরোধের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে যৌথ ভাবে পরিদর্শন করে পুরসভা, দমকল ও বিদ্যুৎ পর্ষদ। তার পরেই পুরসভা জানতে পারে, শহরে যে ৩টি নার্সিংহোম রয়েছে, তার কোনওটিরই দমকলের ছাড়পত্র নেই। তার উপরে নার্সিংহোমগুলির ট্রেড লাইসেন্সের নথিপত্র নিয়েও জটিলতা রয়েছে বলে পুরসভার দাবি।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত ওই পরিদর্শনকারী যৌথ কমিটির প্রধান। পিনাকীবাবু বলেন, “পরিদর্শনের সময়ে যে সব তথ্য সামনে এসেছে তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে কাউকে দেওয়া যায় না। আমরা কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি।” পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, আপাতত শো-কজ করা হলেও পর্যায়ক্রমে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, শহরের বাবুপাড়া এবং হাসপাতালপাড়ায় রয়েছে দু’টি নার্সিংহোম। পুরসভা জানিয়েছে, পরিদর্শনের সময়ে দেখা গিয়েছে, শহরের বাবুপাড়ার তিনতলা নার্সিংহোমের সব তলাতে বিপদ ঘণ্টা থাকলেও তা অকেজো। হাসপাতাল পাড়ার নার্সিংহোমে সর্তক করার স্বয়ংক্রিয় ঘণ্টার কোনও ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুতের মিটার বক্সের নীচেই অক্সিজেন সিলিন্ডার, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছে। ওই দু’টির পরিচালন সমিতির সদস্য প্রদীপকুমার বর্মা বলেন, “সব রকম লাইসেন্সের জন্যই আবেদন করা হয়েছে। পদ্ধতিগত কারণে সেগুলি পেতে দেরি হচ্ছে। আমরি-কাণ্ডের পরে নতুন করেও বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা সব নির্দেশই মেনে চলব।” তৃতীয় নার্সিংহোমটি রাজবাড়িপাড়ায়। রাজবাড়িপাড়ার নার্সিংহোমটির বেসমেন্টে ব্যবহৃত তুলো-গজ-ব্যাণ্ডেজ-সহ নানা দাহ্য আবর্জনা জমা করে রাখা হয়েছে। আপৎকালীন সিঁড়িরও ব্যবস্থাও কোনও নার্সিংহোমে নেই। ওই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কুমার সরকার বলেন, “ইতিমধ্যেই আগুন প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থা তৈরি করতে একটি সংস্থার সঙ্গে আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আগামী দশ দিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” |
|
|
|
|
|