আগুন নিয়ে খেলা
খালি অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার, বিস্মিত আধিকারিকেরা
নার্সিংহোম চালাতে গেলে দমকল বিভাগের অনুমতি লাগে, সে কথা নাকি জানেনই না কর্তৃপক্ষ। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ফোম নেই। বেমালুম ফাঁকা। অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর ডাঁই করা লেপ-তোশক। নার্সিংহোমের তিন তলার উপরে রান্নাঘর। নার্সিংহোমে কোনও ম্যানেজার নেই।
চুম্বকে, এই হল হুগলির সদর শহর চুঁচুড়ায় প্রশাসনের কর্তাদের নাকের ডগায় দু’দশক ধরে চলা একটি নার্সিংহোমের হাল। রমরমিয়ে চলা এই নার্সিংহোমের পরিস্থিতি দেখে ‘চক্ষু চড়কগাছ’ প্রশাসনের কর্তাদের। রবিবার আচমকাই দমকল, বিদ্যুৎ, পুরসভা, পূর্ত দফতরের কর্তাদের নিয়ে ওই নার্সিংহোমে হানা দেয় সরকারি প্রতিনিধিদের একটি দল। চুঁচুড়া ইমামবাড়া (সদর) হাসপাতাল-লাগোয়া শহরের নামজাদা তিনতলার এই নার্সিংহোমের সিঁড়িও অপরিসর। নেই কোনও বিকল্প সিঁড়ি। জরুরি প্রয়োজনে কোনও ভাবে রোগীদের নামিয়ে আনার বিকল্প উপায় নেই। এমনকী, নার্সিংহোমের রেজিস্টারও নিময়মাফিক রক্ষিত হয় না। নার্সিংহোমের মালিক চিকিৎসক অভিজিৎ সাঁই অবশ্য “এটা আমার অজ্ঞতা’’ বলেই খালাস। তিনি বলেন, “নার্সিংহোম চালাতে গেলে এই সব নিময় মানতে হয়, আমার জানা নেই। প্রশাসনকে সব জানিয়েছি।”
খালি সিলিন্ডার দেখছেন আধিকারিকেরা। ছবি: তাপস ঘোষ।
নার্সিংহোমের এই হাল দেখে পুরকর্তারাও তাজ্জব। কলকাতার আমরির মত ঘটনা যে কোনও দিন চুঁচুড়া শহরের বুকে ঘটে যেতে পারে কিনা, সেই প্রশ্নে তাঁরা রীতিমতো শঙ্কিত। অবশ্য পুরসভা কেন এত দিন এই নার্সিংহোমগুলির উপর নজরদারি চালায়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী। হুগলি-চুঁচুড়া পুর এলাকায় মোট ছ’টি নার্সিংহোম রয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই পুর কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি তৈরি করেছেন। সেই কমিটিতে সরকারি সব বিভাগের প্রতিনিধিদেরই রাখা হয়েছে। বর্তমানে চুঁচুড়া শহরের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ভবন, যে সব এলাকায় প্রতিদিন লোকসমাগম হয় সেই সব জায়গায় প্রশাসনিক তদন্ত চলছে।
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “শহরের একটি নার্সিংহোমে ইতিমধ্যেই তদন্ত করার পর আমাদের প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। পুরসভার কমিটির তরফে ফের নার্সিংহোমগুলিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। যদি কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে তা দূর করতে হবে।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “আমরা কোনও প্রতিষ্ঠানকে ভয় পাওয়াতে নয়, শুধুমাত্র নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই পর্যায়ক্রমে সমস্ত জায়গায় তদন্ত চালাব। যে সব ক্ষেত্রে দেখা যাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই, নিয়মমাফিক ভবনের নির্মাণ হয়নি, সংস্থার বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা যথাযথ নয় সেই সব পরীক্ষা করবেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকেরা। তদন্তে অনিয়ম কিছু পাওয়া গেলে প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্টি সময় দেওয়া হবে তা সংশোধনের জন্য।” ওই আধিকারিক আরও জানান, “যদি কোনও সংস্থা প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে তা সংশোধন না করেন, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।”
চুঁচুড়ার সদর মহকুমাশাসক জলি চৌধুরী বলেন, “শহরের বহুতল, নার্সিংহোম, শপিংমলে আমাদের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়নি। প্রশাসন পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। সতর্ক করার পরেও কোনও প্রতিষ্ঠান যদি প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে, তা কিন্তু প্রশাসন কড়া হাতে তা মোকাবিলা করবে।” গার্লস কলেজে জিতল ডিএসও। হুগলির শ্রীরামপুর গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। ওই কলেজে ভোট হওয়ার কথা ছিল আগামী ২২ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১৬ তারিখ। ডিএসও ছাড়া কোনও দলই মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি। ২০০৪ সাল থেকেই ওই কলেজের ছাত্রসংসদ দখলে রেখেছেন ডিএসও-র ছাত্রীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.