ওয়ার্ডেই মাংস-ভাত রান্না চলছে |
আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নেননি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলাশাসকের তৈরি করে দেওয়া ‘সেফটি’ বা নিরাপত্তা কমিটির সদস্যেরা মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন তিনটি ওয়াডের ভিতরে নার্সরা কাগজ ও ওষুধের স্তূপের পাশে হিটার জ্বালিয়ে রান্না করছেন। দমকলের বাঁকুড়া কেন্দ্রের ওসি সুপ্রিয় মণ্ডল বলেন, “ওয়ার্ডের ভিতরে হিটার জ্বালিয়ে মাংস, ভাত, চা তৈরি করছিলেন নার্সরা। অথচ আশপাশে কেউ ছিলেন না। হিটারের পাশেই ছিল কাগজ ও ওষুধের প্যাকেট। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” দমকলের ওসি’র সঙ্গে পরিদর্শনে ছিলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু। অপ্রস্তুত সুপার নার্সদের নির্দেশ দেন, “এখানে আর রান্না করা যাবে না। অন্যথায় শাস্তি দেওয়া হবে।” |
গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য জেলা শাসক সম্প্রতি ওই সেফটি কমিটি তৈরি করেন। ওই কমিটির চেয়ারম্যান বাঁকুড়া দমকল কেন্দ্রের ওসি। এ ছাড়া ওই কমিটির সদস্য বাঁকুড়া সদর থানার আইসি প্রভাত সরকার, পুরপ্রধান শম্পা দরিপা প্রমুখ এ দিন পরিদর্শনে ছিলেন। হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে তাঁরা বৈঠক করেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার, স্টোর রুম ইত্যাদি ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে সুপ্রিয়বাবু বলেন, “হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। যেখানে সেখানে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। ডাঁই করে রাখা কাগজের স্তূপ। আগুন নেভানোর যন্ত্র অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। মৌখিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, হাসপাতালের ভিতরে যত্রতত্র রান্না চলবে না। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আরও বাড়াতে হবে। কাগজপত্র সরিয়ে নিতে হবে। ফের তাঁরা পরিদর্শনে আসবেন বলে তিনি জানান। সুপার জানান, দমকলের নির্দেশ মেনে চলবেন।
|
তৃণমূল প্রভাবিত ‘প্রগ্রেসিভ সার্ভিস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ সোমবার প্রতিষ্ঠা দিবসে পালন করল। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন হয়। আট জন চিকিৎসক হিরাপুরের ঢাকেশ্বরী বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে আবাসিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। চোখ, নাক, কান, গলা, অস্থি, ত্বক ও স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞরা সেখানে চিকিৎসা করেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র মাজি জানান, বৃদ্ধাশ্রমের ২৮ জন আবাসিকের মধ্যে ৯ জনেরই চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে। ২৮ ডিসেম্বর মহকুমা হাসপাতালে তা করা হবে।
|
আমরির দুই নার্সের নাম সুপারিশ |
কলকাতার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃত দুই নার্স রেমায়া এবং বিনীতার নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে কেরল সরকার। আজ একটি অনুষ্ঠানে কেরলের অর্থমন্ত্রী কে এম মণি ওই দুই নার্সের পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। ২৪ বছরের রেমায়া এবং বিনীতা আট জন রোগীকে বাঁচিয়ে নিজেরা মারা যান। সে কথা স্মরণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বিশেষ সম্মান পাওয়ার জন্য ওই দু’জনের নাম তাঁরা সুপারিশ করবেন। |