জঙ্গলে গরু চরাতে আসা গ্রামবাসীদের একাংশ হরিণের চারটি পা কেটে নিয়ে গিয়েছিল বলে বনাধিকারিকদের তদন্তে ধরা পড়ল। সম্বরটি মৃত্যুর পর খবর পেয়ে প্রায় চার ঘণ্টা বাদে বন কর্মীরা পৌঁছাবার আগেই তার পা গুলি দেহ থেকে কেটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জলদাপাড়া উত্তরের রেঞ্জার ও সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে বদলির আদেশ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের বনপাল বিপিন সুদ। বনপাল বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা দুই অফিসারের গাফিলতি ধরতে পেরেছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর গাফিলতি স্পষ্ট হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গত রবিবার বিকালে জলদাপাড়া উত্তর রেঞ্জের বনে হলং নদীর পাড়ে পা বিহীন সম্বরের দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসে বনকর্তারা। উত্তরবঙ্গের বন পাল বিপিন সুদ নিজে দুই দিন ধরে ঘটনার পেছনে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। ময়না তদন্তে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে প্রাণীটি মারা গিয়েছে জানা গেলেও পরিবেশ প্রেমীরা এই ঘটনার পিছনে চোরাশিকারীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তদন্তে অফিসার ও কর্মীদের নজরদারিতে গাফিলতির বিষয়টিও ধরা পড়েছে। তদন্তকারী অফিসার জানান, কর্মীরা পৌঁছাবার ৪ ঘণ্টা আগে মৃতদেহটি ঠিকঠাকই ছিল। গ্রামের কয়েকজন সে ছবি তুলে রেখেছেন। বনকর্মীরা পৌঁছতে দেরি করায় যে যার মত মাংস লুঠ করতে শুরু করে। |