চেকের মাধ্যমে ধান কেনার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল চাষিরা। মঙ্গলবার এই দাবিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের অগ্রগামী কিসান সভার রাজগঞ্জ ব্লক কমিটির নেতৃত্বে শতাধিক চাষি রাজগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। চাষিদের তরফে সংগঠনের রাজগঞ্জ ব্লক নেতা নারায়ণ বলেন, “সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়। চেকের মাধ্যমে চাষিদের ধানের দাম মেটানো হবে। আমরা বিরোধিতা করছি।” তাঁদের দাবি, “চেকের মাধ্যমে নয়। রাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট থেকে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ টাকায় ধান কিনতে হবে।” বিডিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। বিডিও টি টি ভুটিয়া বলেন, “ওই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। ওই দাবি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” বিক্ষোভ চলে বেলা ১২টা থেকে ৩ টে। নারায়ণববাবুদের বক্তব্য, “চেকের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। চেক দেওয়ার পর ওই চাষিদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। চেক ক্লিয়ারেন্স হয়ে ফের ব্যাঙ্কে টাকা আসার পর তবেই চাষিরা টাকা তুলতে পারবেন। যে চাষিদের সঙ্গে সঙ্গে টাকার দরকার, তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। কোনও চাষি যদি আধ মণ বা ১ মণ ধান বিক্রি করে বাড়ির খুব প্রয়োজনীয় বাজার করবেন, তারা কী করবেন? তাই সরাসরি নগদ টাকায় ধান হোক বলে দাবি জানিয়েছি।” তাঁদের অভিযোগ, ব্লক অফিস থেকে যেসব গ্রাম অনেক দূরে, সেখানকার চাষিদের যেমন ধকল পোহাতে হবে, তেমনি বাড়তি পরিবহণ খরচও বহন করতে হবে। |