রান্নার সুষ্ঠু জায়গা না-থাকায় উত্তরবঙ্গ হস্তশিল্প মেলায় যোগ দিতে এসে বিপাকে পড়েছেন শিল্পীদের একাংশ। সোমবার এবং মঙ্গলবার তাঁদের অনেককেই নিরুপায় হয়ে মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে রাস্তার ধারে বসে রান্না করতে হয়েছে। তাতে অসন্তুষ্ট ওই শিল্পীরা। সেই সঙ্গে পানীয় জল এবং শৌচাগারের সুবন্দোবস্ত না থাকায় সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন মেলা কমিটির কাছে। তারপরই নড়েচড়ে বসেন উদ্যোক্তারা। শিল্পীদের রান্নার জন্য মেলার কাছেই যাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা যায় সেই চেষ্টা শুরু করেছেন তাঁরা। |
রাস্তার ধারে রান্নয় ব্যস্ত শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ হস্তশিল্প মেলায়
যোগ দিতে আসা শিল্পীরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
মেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা দার্জিলিং জেলা শিল্প নিগমের আধিকারিক সুবোধ কুমার প্রামাণিক বলেন, “সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। আগুন লাগার ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা নিষেধ করা হয়েছে। শিল্পীদের জন্য মেলার মাঠ থেকে একটু দূরেই হাসমিচক মোড় লাগোয়া হিলকার্ট রোডে অতিথি নিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকে সেখানে রয়েছেন, রান্নাও করছেন। তবে যাঁরা স্টল পাননি, খোলা আকাশের নিচে পসরা সাজিয়েছেন, মেলায় বসে হাতের কাজ করছেন তাঁরা দূরে যেতে চাইছেন না। তাঁদের জন্য স্টেডিয়ামের হল ঘর লাগোয়া অংশে রান্নার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।” সোমবার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, কোচবিহার-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৭০০-র বেশি হস্তশিল্পীরা মেলায় অংশ নিয়েছেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষে অতিথিশালায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকে সেখানে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। অনেকে স্টল ছেড়ে অন্যত্র যেতে নারাজ। তাঁরা মেলার মাঠের একাংশে রান্না করতে চাইলেও আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা এড়াতে তা নিষেধ করা হয়। প্রদীপ কর্মকার, মিনতি রায়, আয়েষা পতিদারের মতো শিল্পীরা জানান, মেলা ছেড়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সমস্যার। তাই মেলা লাগোয়া কোথাও রান্নার ব্যবস্থা হলে ভাল হয়। তা না থাকায় বাধ্য হয়ে মেলা লাগোয়া বিধানরোডে রাস্তার ধারে বসে তাঁদের রান্না করতে হচ্ছে। |