হাতুড়ে চিকিসক নারায়ণ সেন অপহরণ কান্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশের ভুমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফ্যাক্স পাঠাবে তৃণমূল। গত দশ মাসের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের দুজন বাসিন্দা অপহরণ হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কার্যকরী সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “যেভাবে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা মুক্তিপণ আদায় করছে তাতে আলিপুরদুয়ার ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করে ফ্যাক্স পাঠাব। অসম সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে যাতে অপহরণকারীদের ধরা যায় সেজন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাব।” আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “নারায়ণচন্দ্র সেন সুরক্ষিত ভাবে ফিরে এসেছেন। তিনি অসুস্থ থাকায় জেরা শুরু হয়নি। অপহরণকারীদের ধরার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর নারয়ণবাবু উত্তর পোরো বস্তি থেকে বাইকে করে ফেরার সময়ে তিনটি মারুতি ভ্যান তাঁকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করায়। গাড়ি তিনটির আরোহীরা এলাকার একটি পিকনিক স্পটের রাস্তা জানতে চায়। নারায়ণবাবু তাঁর াইক থামাতেই দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে অসমে চলে যায়। নারায়ণবাবুর বাইকটি জঙ্গলের ধারে পড়ে থাকে। অসমে শ্রীরামপুর এলাকার কাছে একটি বনবস্তিতে প্রতিদিন ঘর বদলে নারায়ণবাবুকে রাখা হয়। সব সময় নারায়ণবাবুকে পাহারা দিয়ে রাখা হত। বাড়ি বদলের সময়ে তাঁর চোখ কালো রুমাল দিয়ে বেঁধে রাখা হত। অপহরণকারীরা নারায়ণবাবুর কাছে স্বীকার করেছে, তারা ভুল করে নারায়ণবাবুকে তুলে এনেছে। নারায়ণবাবুর পরিবার প্রায় দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনে। সোমবার রাতে পুলিশ পুরো বিষয়টি জানলেও নারায়ণবাবুর জীবনহানির আশঙ্কায় কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে প্রধান শিক্ষক অপহরণ কান্ডে জড়িতরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ দিন নারায়ণবাবুর ছেলে নবীন সেন বলেন, “আমার বাবাকে ফিরে পেয়ে খুশি। ৯ ডিসেম্বর অপহরণের পর ১১ তারিখ অপহরণকারীরা বাবার মোবাইল থেকে আমাদের এসএমএস করে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়। পরে আমরা দর কষাকষি করে মুক্তিপণ দিয়ে বাবাকে ছাড়িয়ে এনেছি।” |