চোলাই-বিরোধী তল্লাশি, ধৃত ৫১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটে বিষমদে প্রায় দু’শো মানুষের মৃত্যুর পর রাজ্য জুড়েই চোলাই ও নকল মদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ও আবগারি দফতর। আর এই তল্লাশি ঘিরে আশ্চর্যজনক এক তথ্য উঠে এসেছে। ৪ দিন তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে আবগারি দফতরের নির্দিষ্ট আইনে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আবগারি দফতরও ৪ দিন তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু তাদের পৃথক অভিযানে কেউ গ্রেফতারই হয়নি! |
এ হেন বিস্ময়কর পরিসংখ্যানের ব্যাখ্যায় আবগারি দফতরের জেলা সুপারিনটেনডেন্ট পরিমল দত্ত বলেন, “আমরা তল্লাশি চালিয়ে ৪২টি স্থান চিহ্নিত করেছি। যেখানে চোলাই মদ তৈরি হত। সেখান থেকে মদ নষ্ট করাও হয়েছে। তল্লাশিতে আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে মদ নষ্ট করে দেওয়া।” যদিও আবগারি দফতরের ওই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, ওই সব চোলাই ও নকল মদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবগারি দফতরের এক শ্রেণির কর্মী ও অফিসারের যোগসাজশ রয়েছে। তাই তল্লাশির আগেই খবর দিয়ে দেওয়া হয়। সবাই পালিয়ে যায়। তার পর লোকদেখানো কিছু মদ নষ্ট করা হয়। ক’দিন পরেই অবৈধ ব্যবসায়ীরা ফিরে এসে দিব্যি ফের চালু করে দেয় ঠেক।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবগারি সুপারের দাবি, “দূর থেকে লোকজন দেখে সবাই পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা যায়নি।” তা হলে পুলিশ ৫১ জনকে ধরল কী ভাবে? আবাগারি কর্তা আর জবাব দেননি। অন্য দিকে, জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, ৪ দিন ধরে চারটি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাতে ১০ হাজার ২৯৯ লিটার মদ নষ্ট করা হয়েছে। ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর আবগারি দফতর জানিয়েছে, ৪ দিনে ১৪৭৪ লিটার চোলাই মদ তারা নষ্ট করেছে। এ ক্ষেত্রেও আবগারি-হিসাবটা খুব করুণ। |