বিধায়ক ভাতায় কেন্দ্রীয় নীতির সুপারিশ সুব্রতর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিধায়কদের ভাতা-সহ সুযোগসুবিধার একটি রূপরেখা কেন্দ্রীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের জনসংখ্যা, মানুষের জীবনযাত্রার মান ও বিধানসভার আয়তনের ভিত্তিতে ভাতা নির্ধারণ হওয়া উচিত বলে তিনি মঙ্গলবার বিধানসভায় জানান।
এ দিন বিধানসভায় ‘দ্য বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (মেম্বার্স এমোলিউমেন্টস, অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১১ নিয়ে আলোচনার সময় সুব্রতবাবু বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের বিধায়কদের ভাতা অনেক কম। নতুন সংশোধনী এনে মাত্র আড়াইশো টাকা ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তা নিয়ে এত বিতর্ক-আলোচনা নিষ্প্রয়োজন। রাজ্যের জনসংখ্যা ও সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান ও বিধানসভার আয়তনের নিরিখে কেন্দ্র বিধায়কদের ভাতা-সহ সুযোগসুবিধার রূপরেখা ঠিক করে দিলেই এই বিতর্কের সমাধান হয়ে যায়।”
এত দিন এ রাজ্যের বিধায়কেরা বিধানসভায় হাজিরা দিলে দিন পিছু সাড়ে ৭০০ টাকা ভাতা পেতেন। নতুন সংশোধনী আইন এনে তা এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এ দিন ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে আলোচনায় এসইউসি ছাড়াও বিরোধী পক্ষের কয়েক জন বিরোধিতা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার-বিরোধী ঐকমত্যে বিলটি পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা যুক্তি দেন, সরকারি কর্মীদের অনেকে বেতন পাচ্ছেন না। সারের দামবৃদ্ধি, ফসলের ন্যায্যমূল্য না-পেয়ে চাষিরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের ভাতা বাড়ালে মানুষের কাছে খারাপ বার্তা যাবে।
এসইউসি-র তরুণ নস্কর বলেন, “শুনেছি, মুখ্যমন্ত্রী বেতন বা ভাতা কিছুই নেন না। ওঁর থেকে আমরা কিছু শিখতে পারি তো!” তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের এই বর্ধিত ভাতা যে খুবই ‘সামান্য’, তা জানিয়ে সিপিএমের আনিসুর রহমান বলেন, “ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। বাড়ুক, সেটাই চাই।” এর পরেই সুব্রতবাবু বলেন, “যাঁরা বিরোধিতা করছেন, নৈতিক বোধ থাকলে লিখে দিন, বর্ধিত ভাতা তাঁরা নেবেন না। তবে রাজ্যের আর্থিক স্বচ্ছলতা এলে মানুষের উপর চাপ না-বাড়িয়েই বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হবে, এই আশ্বাস দিচ্ছি।” |