রাষ্ট্রপতি তাদের বাহবা দিয়েছেন। বাড়ির লোকেদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের বিয়ে রুখে দেওয়া পুরুলিয়ার সেই পাঁচ নাবালিকা এ বার বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার করতে বেরোচ্ছে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে বিষ্ণুপুর মেলায় তাঁরা প্রচারে অংশ নেবে। পুরুলিয়ার এই পঞ্চকন্যা আফসানা খাতুন, সুনীতা মাহাতো, বীণা কালিন্দী, মুক্তি মাঝি ও সঙ্গীতা বাউরি মেলায় শোনাবে তাদের নিজেদের কথা। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল তাদের কথা শোনার সময় বিষ্ণুপুরে মেলায় গিয়ে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “শিশুশ্রমিক প্রকল্পের একটি স্টল মেলায় থাকছে। প্রশাসনের ওই স্টলে হাজির থাকবে ওই পাঁচ কিশোরী। সেখানেই তারা বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার করবে।” বাল্যবিবাহ রোধে বীণাকে ইতিমধ্যে ইউনিসেফ মডেল ঘোষণা করেছে। জন সংখ্যা নিয়ম্ত্রণে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক রেখা কালিন্দীকে রোল মডেল ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রপতি পুরুলিয়ার এই সাহসিনীদের সমাজ পরিবর্তনের দূত নামে আখ্যা গিয়েছেন। সম্প্রতি এই পঞ্চকন্যাকে তাঁর রাইসিনা হিলসের বাংলোয় ডেকে পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সংবর্ধিত করেন। জেলার সহকারি শ্রম মহাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, “রাষ্ট্রপতি বলেছেন বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রচার বাড়াতে হবে। তাই ওদের নিয়ে বিষ্ণুপুর মেলায় যাব।”
|
পঞ্চায়েতে ত্রাণ সামগ্রী ও মিনিকিট মজুত থাকা সত্ত্বেও তা বিলি করা হয়নিএই অভিযোগ তুলে প্রধান ও কর্মীদের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। রাইপুর ব্লকের আরএসপি এবং নির্দল পরিচালিত ফুলকুসমা পঞ্চায়েতের ঘটনা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টা তালাবন্দি করে রাখা হয় পঞ্চায়েত প্রধান ও ৮ কর্মীকে। পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রধান আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ায় তালা খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু সিংহের অভিযোগ, “এ দিন পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আমরা দেখি, গুদামে বেশ কিছু কম্বল, ত্রিপল এবং ভুট্টা, সর্ষের মিনিকিট (বীজ) মজুত রয়েছে। এলাকায় নিজেদের কাছের লোকেদের ইতিপূর্বে ত্রাণসামগ্রী বা মিনিকিট পাইয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এখনও গুদামে যে-সব সামগ্রী মজুত রয়েছে, সেগুলিও পাচারের চেষ্টা চলছিল।” এরই প্রতিবাদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে তৃণমূলের দাবি। পঞ্চায়েতের আরএসপি প্রধান দুর্গাবতী দুলে অবশ্য দাবি করেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই ত্রাণ সামগ্রী বা মিনিকিট বিলি করা হয়েছে। কিছু সামগ্রী মজুত আছে। নিয়ম মেনে তা-ও বিলি করা হবে। কাউকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য এ সব মজুত রাখা হয়নি। অভিযোগ ভিত্তিহীন।” প্রধানের দাবি, তিনি দলমত নির্বিশেষে কাজ করেন। সবার সঙ্গে আলোচনাও করেন।
|
এসএফআইয়ের পরে এ বার ডিএসও কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ(টিএমসিপি)-এর বিরুদ্ধে। ইঁদপুর ব্লকের শালডিহা কলেজের ঘটনা। ডিএসও-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অচিন্ত্য মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার দুপুরে শালডিহা কলেজে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে টিএমসিপি-র বহিরাগত দুষ্কৃতীরা বাধা দিয়েছে। আমাদের সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি ঝন্টু মণ্ডল, কলেজ ইউনিট সম্পাদক মোহিত মণ্ডল-সহ পাঁচ জনকে মারধর করেছে ওরা।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘বহিরাগত কয়েক জনকে নিয়ে শালডিহা কলেজে ঢুকেছিলেন ডিএসও-র কিছু সদস্য। আমাদের কেউ ওদের মারধর করেনি। পুরোটাই অপপ্রচার।”
|
বেআইনি চোলাই মদ মজুত রাখার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় চোলাই মদ। মঙ্গলবার সকালে বাঁকুড়া সদর থানার ডুমুরজুড়ি গ্রামে পুলিশ হানা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মধুসূদন মণ্ডল। বাড়িতে বেআইনি চোলাই মদ মজুত করে রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ৬৫ লিটার চোলাই ও মদ তৈরির ১০৫ লিটার উপকরণ পাওয়া গিয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “চোলাই মদের ঠেক ও ভাটিতে অভিযান চলবে।” আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
|
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালর্ভাট থেকে মোটরবাইক নিয়ে নীচে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায় ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তার উপরে ঝালদা থানার উদয়সিরি গ্রামের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মাগারাম মাহাতো (২৬)। কোটশিলা এলাকার জজলং গ্রামে তাঁর বাড়ি। তাঁর মাথায় ও পায়ে চোট লেগেছে। মৃতের কাকা পীযূষকান্তি মাহাতো বলেন, “ভাইপো তাঁর স্ত্রী ও মাস ছ’য়েকের ছেলেকে ঝালদার দুলমিতে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে।”
|
বিপিএল তালিকা সংশোধন, বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা ন্যায্য প্রাপকদের দেওয়া-সহ ১৯ দফা দাবিতে পাড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। সোমবার সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিক্ষোভ দেখানোর পরে সভাপতিকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক উমাপদ বাউরি। দাবিগুলি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সমিতির সভাপতি মনজুড়া হাঁসদা।
|
প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকার বড় বাজারে ধান কেনার ব্যবস্থা করা-সহ ১৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিল ফরওয়ার্ড ব্লক। মঙ্গলবার মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব’কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। |