অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নায় চিতিসাপ পড়েছে বলে অভিযোগ তুলে হইচই বাধালেন খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। দলে দলে শিশুদের চিকিৎসা করাতে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকেরা। মারধর করায় রান্নার কাজে যুক্ত থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। পুলিশ গিয়ে এক কর্মীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর শহরের বাদামতলা প্রাথমিক স্কুলের শিশুবিকাশ কেন্দ্রে। আইসি (বিষ্ণুপুর) প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরো ব্যাপারটাই গুজবের ফল। রান্না করা খিচুড়িতে সব্জির কোনও একটা অংশকে চিতি সাপ ভেবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অভিভাবকেরা চড়াও হন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপরে। আমরা যুঁই মুখোপাধ্যায় নামে এক কর্মীকে নিরাপত্তা দিতে থানায় নিয়ে আসি।” থানায় যুঁইদেবী বলেন, “এ দিন ৯৩ জনের রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, খিচুড়িতে সাপ সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে তেমন কিছু দেখা না গেলেও লোকজন জড়ো হয়ে এক রাঁধুনি মারেন।”
বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, ১০০টিরও বেশি শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বাস্তবে তাদের কারওরই কোনও শারীরিক অসুবিধা ছিল না। তবু প্রত্যেককে চিকিৎসা করে ওআরএস খাইয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে, যাতে অভিভাবকেরা চিন্তামুক্ত হন। সুপারের কথায়, “একটা ভয় থেকেই বাচ্চাদের নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন অভিভাবকেরা। কাউকেই ভর্তি করতে হয়নি।” |