মগরাহাট থানার নৈনানে গত ১ ডিসেম্বর পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে জখম হোমগার্ড আইবুল হালদারের (৫৫) সোমবার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ, ওই দিন মাথায় আঘাত পাওয়ার পরেও চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনও রকম সাহায্য তাঁরা পাননি। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ন মিনা মঙ্গলবার বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখব। তবে, নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ বাবদ আইবুলের পরিবারের যা প্রাপ্য, তা সরকারের কাছ থেকে পাবেন।”

আইবুল হালদার |
ঘটনার দিন মগরাহাট থানার হোমগার্ড আইবুল ডায়মন্ড হারবার থানার চাঁদপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে ফিরে স্ত্রী রাহিদাকে জানান তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। পরদিন থেকে মাথায় অস্বস্তি নিয়েই তিনি থানায় যান বলে তাঁর জামাই গুনাম কিবরিয়া জানিয়েছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন থানায় গেলেও ৫ ডিসেম্বর বাড়ি ফেরার পথে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বাড়িতে দিয়ে যান। স্থানীয় চিকিৎসক তাঁকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরদিন সকালে আইবুলকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা আইবুলের বাড়ির লোকজনকে জানান, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গুলাম কিবরিয়ার অভিযোগ, এরপর তাঁরা মগরাহাট থানা এবং আলিপুর পুলিশ লাইনে যোগাযোগ করেন। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে কোনও সাহায্য তাঁরা পাননি। তিনি বলেন, “পুলিশ কোনও সাহায্য তো করেইনি, এমনকী আমরাই পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। পুলিশ হাসপাতালে কোনও চিকিৎসা না হওয়ায় আমরা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।” সেখানেও ক্রমেই আইবুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ১৩ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আইবুলের স্ত্রীর অভিযোগ, “পুলিশ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। বহুবার মগরাহাট থানায় এবং আনিপুরে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য কোনও সরকারি সাহায্যও পাইনি। তবে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার বাড়ির লোককে আলিপুরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।” |