|
|
|
|
তৃণমূলের দ্বন্দ্বেই, সন্দেহ |
ভগবানপুরে ভুয়ো মাওবাদী পোস্টার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
তৃণমূলের স্থানীয় দুই নেতার নামে মাওবাদীদের নাম করে দেওয়া ‘হুমকি-পোস্টার’ ঘিরে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-২ ব্লক-সদরে। এ দিন সকালে ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ের পাঁচিল ও আশপাশের দোকানের গায়ে সাদা কাগজে লালকালিতে লেখা কতগুলি পোস্টার দেখা যায়। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা প্রদীপ কয়াল ও মানব পড়ুয়ার নামে করে ‘হয় লিফলেট দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে, না হলে গণ-আদালতে খুন করা হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া ছিল ওই পোস্টারে। নীচে ইংরাজি হরফে লেখা ‘সিপিআইএম (মাওবাদী)’। নীচের লেখাটি নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়। মাওবাদীরা তাদের পোস্টারে ‘সিপিআই (মাওবাদী)’ লেখে, ‘সিপিআইএম’ লেখে না। এতেই সন্দেহ তৈরি হয়, পোস্টারগুলি আসলে মাওবাদীদের নাম করে অন্য কারও সাঁটানো। পুলিশকে জানিয়ে পোস্টারগুলি পরে খুলে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরাই।
কিন্তু দিনভরই চলে জলঘোলা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ভুয়ো পোস্টারের পিছনে সিপিএমের এমনকী দলের বিক্ষুব্ধদেরও হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন। এ ক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধদেরই বেশি সন্দেহ তৃণমূল নেতাদের। প্রদীপবাবু দলের ব্লক সভাপতি, মানববাবু দলের অর্জুননগর অঞ্চল কমিটির সভাপতি। তাঁদের বক্তব্য, “শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কয়েক দিন হল দল থেকে বহিষ্কৃত এক নেতা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এটা করতে পারেন। তবে সিপিএমের যোগও থাকতে পারে।” ব্লকের বরোজ, ইটাবেড়িয়ায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যেই। পোস্টার-কাণ্ড তারই পরিণতি বলে মনে করছেন ভগবানপুর-২ ব্লকের অধিকাংশ তৃণমূল নেতা-কর্মীই। তবে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন ঘুরেফিরে সিপিএমকেই সেই এর জন্য দুষেছেন। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএমই মাওবাদী মুখোশের আড়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছে।” যা অবশ্য ‘প্রলাপ’ বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্র। পুলিশ জানাচ্ছে, ‘তদন্ত চলছে’। তারাও অবশ্য পোস্টারের পিছনে ‘মাওবাদী’ যোগ বিশেষ পাচ্ছে না।
|
|
|
|
|
|