|
|
|
|
চোরাই মাল পাচারের পথে ধৃত পুলিশকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
একেই বলে ‘চোরের উপরে বাটপাড়ি’। থানায় রাখা চোরাই মাল পাচার করার সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক পুলিশকর্মী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভূপতিনগর থানার জুখিয়াতে। পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি অশোক প্রসাদ বলেন, “দেবপ্রসাদ সামন্ত নামে ওই এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।” বছর দশেক আগে ভূপতিনগর থানা এলাকার হরিপুর, রাধাপুর ও দুবাই গ্রামে মাটির নীচে তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার রয়েছে কি না, জানতে পরীক্ষা শুরু করেছিল ওএনজিসি। কিছু না-মেলায় চলে যান ওএনজিসি-র কর্মী-আধিকারিকেরা। পরিত্যক্ত যন্ত্রাংশের পাশাপাশি কর্মী-আধিকারিকদের আবাসন, ব্যবহৃত জিনিসপত্র পড়েই ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না-থাকায় জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল এলাকার কিছু লোকজন। আসবাবপত্রের পাশাপাশি দরজা, জানালা, লোহার গ্রিলও ভেঙে নিয়ে চলে যাচ্ছিল তারা। ১২ ডিসেম্বর ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওএনজিসি-র মুখপাত্র জানান, লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। টাকার চেয়েও বড় কথা হল, ‘ড্রিলিং’য়ের কাজে ব্যবহৃত ‘কেমিক্যাল’ও না-বুঝে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন কিছু গ্রামবাসী। যার ব্যবহারে অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে।
চুরি ঠেকাতে পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়। ওই তিন কেন্দ্রে পুলিশি পাহারারও বন্দোবস্ত করা হয়। চুরির অভিযোগে স্থানীয় চার বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে দু’জনের বাড়ি থেকে চোরাই গ্রিল, জানলা, দরজা উদ্ধার হয়। চোরাই মালপত্র থানায় আনলেও ‘সিজার লিস্ট’ বানানো হয়নি। অভিযোগ, সোমবার রাতে ওই সব জিনিসপত্র বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা দেবপ্রসাদবাবু। জুখিয়ার কাছে ইটাবেড়িয়া-হেঁড়িয়া রাস্তায় তাঁর গাড়ি আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার ওসি এবং সিআই ঘটনাস্থলে এসে তাজ্জব হয়ে যান। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে গ্রেফতারের দাবিতে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। পরে পুলিশ বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকা বানিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
|
|
|
|
|
|