গত মরসুমের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও চিডি এডের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেনি মোহনবাগান। আর সবুজ-মেরুন ছাড়ার পর বৃহস্পতিবারই চিডির প্রথম ম্যাচ পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে মোহনবাগান মাঠেই অনুশীলন সারলেন চিডিরা।
ওডাফাদের বিরুদ্ধে নামার আগে চিডির কথায় বার বার ফিরে এল মোহনবাগান। “আমার কাছে কিন্তু মোহনবাগান ম্যাচ আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই। সব ম্যাচেই গোল করার জন্য খেলি। এটাতেও তাই।” তবে চিডি স্বীকার করছেন, মোহনবাগান মাঠে ঢুকে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছিলেন। গল্পগুজব করলেন পুরনো কয়েক জন সতীর্থের সঙ্গে। বললেন, “এই ক্লাবে খেলেছি। এই মাঠেই প্র্যাক্টিস করতাম। সে সব একটু তো মনে পড়বেই। তবে ফুটবলারদের আবেগ থাকতে নেই।”
চিডির কোচ, মোহনবাগানের আর এক প্রাক্তন করিম বেঞ্চারিফা আবার আই লিগে জয়ের অভ্যেস ধরে রাখতে চান। সালগাওকর এ মরসুমে লিগে জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। তবে ব্যাপারটাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন না করিম, “এই ম্যাচ জিতলে মোহনবাগানের সঙ্গে আমাদের পয়েন্টের পার্থক্য দাঁড়াবে পাঁচ। মনে করছি না, আমরা খুব একটা পিছনে রয়েছি।” কলকাতায় ফেডারেশন কাপ জেতার পর থেকেই সালগাওকরের গ্রাফ নিম্নমুখী। তাকে পাত্তা না দিয়ে করিমের অবশ্য মন্তব্য, “আমরা এই মুহূর্তে গোয়া লিগে শীর্ষে। ফেড কাপ জিতেছি। এএফসি কাপে দেশের গর্বের জন্যও আমরা খেলব।”
এ দিকে সুস্থ হয়ে ওঠার পথে ফের চোটের কবলে মোহনবাগানের হাদসন লিমা। মঙ্গলবার সকালে ক্লাবের প্র্যাক্টিস ম্যাচে সুরকুমারের ট্যাকলে ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডারের ফের লাগে পুরনো চোটের জায়গায়। বুধবার অনুশীলনের পর চূড়ান্ত হবে সালগাওকরের বিরুদ্ধে লিমা খেলবেন কি না। ব্যারেটোর খেলার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে। এ দিকে, বড়দিনের শুভেচ্ছা নিয়ে মাঠে সকালেই হাজির সান্তা ক্লজ ব্যারেটোর হাতে তুলে দিলেন বাইবেল। তবে ব্যারেটো খেললেও ফরোয়ার্ডে ওডাফার সঙ্গে অসীম বিশ্বাসকে দেখার সম্ভাবনা আছে। এআইএফএফ নির্বাচিত ২০১১-র সেরা ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর চোটে যে তাঁর ক্লাব অসুবিধায়, স্বীকার করে নিলেন মোহন কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্ড সমস্যায় সালগাওকর ম্যাচে নেই কিংশুক দেবনাথ ও এন পি প্রদীপও।
|
বুধবার:
আই লিগে
প্রয়াগ ইউনাইটেড : শিলং লাজং (যুবভারতী, ২-০০)
চার্চিল : পুণে এফসি (মারগাও) |