নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল |
ছাত্রসংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল হরিপাল বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ওই কলেজের ছাত্র সংসদ রয়েছে টিএমসিপি-র দখলে। কলেজ ও পুলিশ সূত্রের খবর, আগামী ২৩ ডিসেম্বর সেখানে ৫৪টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। অন্য কোনও দল মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারলেও তৃণমূলেরই দু’টি গোষ্ঠী মনোনয়নপত্র জমা করে। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ছিল। সেই নিয়েই দু’পক্ষের গণ্ডগোলের জেরে এ দিন দুপুরে মারামারি বাধে। |
তৃণমূল সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই কলেজের ছাত্র সংসদ বকলমে চালাচ্ছিলেন দলের স্থানীয় এক নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই বিভিন্ন মহলে নানা অভিযোগ রয়েছে। টিএমসিপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও এ নিয়ে অভিযোগ পৌঁছয়। তৃণমূল শিবিরের খবর, ওই নেতার দলবলকে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও ওই গোষ্ঠী প্রার্থী দাঁড় করায় দল মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি আঁচ করে কলেজ চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। তা সত্বেও, এ দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মারামারিতে দু’পক্ষের ৬ জন কমবেশি জখম হয়েছেন। তাঁদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক জনকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। দু’পক্ষের নেতারাই পরস্পরকে ‘সুবিধাবাদী এবং সিপিএম ছেড়ে আসা’ বলে দাবি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “যাঁরা ওখানে দলের নির্দেশ মানছে না, দলে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অবশ্য স্থানীয়দের বক্তব্য, “প্রচুর পুলিশ ছিল কলেজে। তারপরও কী ভাবে মারপিটের ঘটনা হল?” পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। জখম ছাত্রের চিকিৎসা। |