|
|
|
|
অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যে জোর |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
অরুণাচল ও মায়ানমারের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী ভারত ও মায়ানমার। বাণিজ্য সম্ভাবনা সরেজমিনে দেখতে আপাতত মায়ানমারের পাংসুতে এসেছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব তথা বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের এডিজি ভি কে গুপ্ত। পাংসু গিরিপথ ব্যবহার করে সীমান্তের দুই পারে বাণিজ্য শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গুপ্তর সঙ্গে অরুণাচল সরকারের প্রতিনিধি দল গত কাল সীমান্ত পার হয়ে পাংসু শহরে হাজির হন। তাঁরা নামপং হয়ে সীমান্ত চৌকি, পাংসু পাস ও পাংসু শহর ঘুরে দেখেন। পাংসু প্রশাসন ও মায়ানমার সরকারের বাণিজ্য বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে স্টিলওয়েল রোড মেরামতির প্রসঙ্গ ওঠে। মায়ানমার সরকারের প্রতিনিধিরা সীমান্ত থেকে পাংসু শহর অবধি, স্টিলওয়েল রাস্তাটি সংস্কারের অনুরোধ করেন। তাঁরা জানান, অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নামপং বা জয়রামপুর পাঠাতে এবং মায়ানমারের বাসিন্দাদের নামপং আসতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। স্টিলওয়েল মেরামতি হলে মাত্র তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে।
মায়ানমারের তরফে সোনার গুঁড়ো, জেড পাথর, কাঠ, সর্ষে, আদা, পোলট্রির মুরগি ও ডিম রফতানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পণ্য পরিবহনের জন্য নামপং বাজার থেকে পাংসু শহর অবধি গাড়ি চালাবার অনুমতিও চাওয়া হয়। পাংসু প্রশাসনের দাবি, নামপংয়ে নয়, পাংসু সীমান্তে মুদ্রা বিনিময় বুথ, বাণিজ্য কেন্দ্র গড়তে হবে। পাংসুর ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা, নামপং থেকে মায়ানমার সীমান্ত অবধি বাস পরিষেবা শুরু করার দাবি জানান। গুপ্ত সমস্ত বিষয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেন।
জয়রামপুরের এডিসি এম রায়ের অভিমত, স্টিলওয়েল ব্যবহার করলে দক্ষিণ চিন, ইয়াঙ্গন, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুর অবধি বাণিজ্য অনেক সস্তা ও দ্রুততর হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে গুয়াহাটি থেকে পাংসু সীমান্ত পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ১২ ঘণ্টা। সহজেই অসম ও অরুণাচল থেকে চা, তুলো, সুতো, নামি কোম্পনির খাদ্য সামগ্রী, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ফল মায়ানমার তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে রফতানি করা যাবে। |
|
|
|
|
|