|
|
|
|
পাঁচ দিনে পতন ৮২৭ |
সেনসেক্স নামছে ১৪ হাজারের দিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শেয়ার বাজারের পতন অব্যাহত। মঙ্গলবারও সেনসেক্স পড়েছে ২০৪.২৬ অঙ্ক। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ১৫,১৭৫.০৮ অঙ্কে।
পাশাপাশি, সামান্য হলেও এই দিন ফের পড়েছে টাকার দাম। দিনের শেষে ১ পয়সা পড়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫২.৮৭/৮৮ টাকা।
এ দিকে, শেয়ার এবং টাকার দাম ক্রমাগত পড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের শেয়ার বাজারের মানের পতন হয়েছে। এত দিন ভারত ছিল সেই সব দেশের তালিকায়, বাজারে যাদের মোট শেয়ারের মূল্য বা ‘মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন’ ১ লক্ষ কোটি ডলারের উপর। কিন্তু এ বার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলারে। তবে ভারতীয় মুদ্রায় ওই অঙ্ক প্রায় ৫২ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার সারা দিনে সেনসেক্স ওঠানামা করেছে প্রায় ২৭৩ পয়েন্ট। লেনদেন শুরুর পর এক সময়ে সূচক উঠে গিয়েছিল ১৫,৪৪৮.১৩ অঙ্কে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার বিক্রির হিড়িকও বাড়তে থাকে। নামতে থাকে সূচকের পারাও। এ দিনের পতন-সহ গতপাঁচ দিনের লেনদেনে সেনসেক্স পড়ে গিয়েছে ৮২৭ পয়েন্টেরও বেশি। বিশেষ করে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির জেরেই দাম দ্রুত পড়ছে বলে বাজার সূ্ত্রের খবর। বিশ্ব জোড়া মন্দার পরে এক সময়ে ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারকেই লগ্নির প্রধান ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু এখন তাদের আস্থা ক্রমশ কমছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্য শেয়ার বাজারে লগ্নি করাই যাঁদের প্রধান ব্যবসা বা পেশা, তাঁরা কিন্তু এই বাজারেও হাত গুটিয়ে বসে নেই। তবে লগ্নি হচ্ছে খুবই স্বল্প মেয়াদে। এই চূড়ান্ত অনিশ্চিত বাজারে সব লগ্নিকারীই অল্প মুনাফা হলে তা বেচে পকেটে ভরছেন। এই কারণেই বাজার শুরুতে উঠলেও পরের দিকে পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের ঋণনীতির পর্যালোচনায় ২১ মাস পরে সুদের হার বাড়ানো থেকে বিরত থেকেছে। ওই ২১ মাসে তা বেড়েছে ১৩ বার। অনেকেই আশা করেছিলেন, বাজার এতে উৎসাহিত হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ বার যে সুদ বাড়বে না, তা লগ্নিকারীরা আগেই ধরে নিয়েছিলেন। তাই ওই সিদ্ধান্ত তাঁদের তেমন উৎসাহ জোগায়নি। বরং বাজারের আশা ছিল, নগদ জমার অনুপাত বা সিআরআর কমিয়ে বাজারে নগদ টাকার জোগান বাড়ানোর ব্যবস্থা করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কারণ, সেটা হলে সুদের হার কিছুটা কমার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই পথে না-হাঁটায় শেয়ার বাজার কিছুটা হতাশ। |
|
|
|
|
|