বিধানসভা নির্বাচনে হাঁসন কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন সিপিএম নেতাদের একাংশ। মঙ্গলবার তাদের ১৪তম জেলা সম্মেলনে এমনই অভিযোগ করেছে বাম শরিক আরসিপিআই।
এ দিন রামপুরহাটে রেলমঞ্চে এই সম্মেলন হয়। সম্মেলনে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের চারের পাতার প্রথম দিকে এই অভিযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে। ‘২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের মাড়গ্রামে আরসিপিআই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিপিএম কাস্তে হাতুড়ি তারা প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছে। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে হাঁসন কেন্দ্রের রামপুরহাট ২ ব্লকের অধিকাংশ জায়গায় সিপিএমের অধিকাংশ নেতৃত্ব গোপনে নির্দল প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছে। বড় বড় নেতারাও এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত।’ সম্মেলনে আরসিপিআই দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য কমিটির সদস্য মিহির বায়েন অভিযোগ করেন, “সিপিএমের রামপুরহাট ২ জোনাল কমিটির নেতৃত্বের একাংশ নির্দল প্রার্থীর হয়ে গোপনে কাজ করেছেন। আমি নাম করব না। ওই কাজে সিপিএমের এক জন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও যুক্ত আছেন। রামপুরহাট ২ জোনাল কমিটির সিপিএম নেতৃত্বের একাংশের অসহযোগিতায় মাড়গ্রামের বেশকিছু বুথে দলীয় প্রার্থী ৪টি, ৫টি করে ভোট পেয়েছেন। এই অসহযোগিতার জন্য নির্দল প্রার্থী ২৬ হাজার ভোট পেয়েছেন।” তিনি দাবি করেন, “বাম ঐক্য বজায় রাখতে গেলে সিপিএম নেতৃত্বকে খুঁজে বের করতে হবে কারা এই সব কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিরোধীদের দোষারোপ করলে বলবে না। নিজেদের ত্রুটিগুলোকে দেখতে হবে।” প্রসঙ্গত, এ বার ভোটে আরসিপিআই প্রার্থী কামাল হাসান ৪৬,৯১৮ ভোট এবং কংগ্রেসের অসিত মাল ৭৩ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়েছেন।
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওরা ওদের মতো করে সম্পাদকীয় প্রতিদেবনে উল্লেখ করেছে। আমরা পাল্টা বিবৃতি দেব। আমরা বাম ঐক্যকে জোরদার করব। তবে তাঁরা যে বিষয়গুলি নিয়ে অভিযোগ করেছেন সেটাও দেখব।” তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “তাঁদের এত কী জনসমর্থন আছে? যে সিপিএম ভোট না করলে তাঁরা এত ভোট পেতেন?” এ দিন দলের জেলা সম্মেলনে ২৫ জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সেখানে জেলা সম্পাদক হয়েছেন কামাল হাসান। |