রাস্তার শিলান্যাস হয়েছে মাস আটেক আগে। তার পরে ছিটেফোঁটাও এগোয়নি কাজ। আরও একটি রাস্তা তৈরিতে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল মাস ছ’য়েক আগেই। তবে সেই পর্যন্তই। ডোমকলের রায়পুর পঞ্চায়েতের কাটাকোপরা থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার ৫ কিমি রাস্তা আর কাটকোপরা কুঠি থেকে কুপিলার ৪ কিমি রাস্তা বেহাল। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জবাব, রাস্তাদু’টির ধার ঘেঁসে অনেকগুলি পুকুর রয়েছে। ফলে বড় প্রকল্পের কাজ নেওয়া সম্ভব হয়নি। ব্লক প্রশাসন ও জেলা পরিষদ কর্তাদের সাফাই, জেলা পরিষদের বাজেট পেশ না হওয়ার জন্যই থমকে কাজ। কাটাকোপরা থেকে রায়পুর ও আলিনগর হয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার এই ৫ কিমি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন আশপাশের গ্রামের মানুষ। রায়পুর, আলিনগর, ডুমুরতলা, শীতলনগরের বাসিন্দাদের ওই রাস্তাই ব্যবহার করতে হয়। রায়পুরের শিক্ষক অনুত্তম কর্মকার বলেন, “কাটাকোপরার কিছুটা অংশ পঞ্চায়েত তৈরি করলেও এক যুগ আগে গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তায় ইট বিছিয়েছিল। সংস্কার করা ছাড়া পঞ্চায়েত আর হাত লাগায়নি। গ্রামের মানুষ বহুবার রাস্তা তৈরির জন্য আবেদন করেছেন। তবে কাজ হয়নি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের।”
কুঠি থেকে কুপিলার ৪কিমি রাস্তার ছবিটাও একই। শীতলনগর, খিদিরপাড়া, কুপিলা-তিনটি গ্রামের মানুষ ওই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল। ব্লক সদরে আসতে হলে ওই রাস্তাই সম্বল। দীর্ঘ দিনের মেরামতির অভাবে রাস্তা বেহাল। শেয়ালমারি নদীর ধার ঘেঁষা রাস্তায় গাড়ি তো দুরের কথা, ভ্যান চালানোও বিপজ্জনক। রায়পুর পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের জানমহম্মদ মণ্ডল বলেন, “দু’টি রাস্তাই বেহাল। সারাইয়ের জন্য টেন্ডার ডাকার কাজও মিটেছে বলে শুনেছি। রাস্তা তৈরিতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। পঞ্চায়েতের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব নয়।”
ডোমকলের বিডিও প্রভাসচন্দ্র দাস বলেন, “জেলা পরিষদের অচল অবস্থার কারণে শুধু ওই দু’টি রাস্তাই নয়, মোট ৬টি রাস্তার কাজ আটকে রয়েছে। জেলা পরিষদের সমস্যা না মিটলে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভবনা নেই।” মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাপতি পূর্ণিমা দাস বলেন, “কাটাকোপরা কুঠি থেকে কুপিলা পর্যন্ত যে রাস্তা হওয়ার কথা, তার শিলান্যাসও হয়ে গিয়েছে। টাকা রয়েছে। কিন্তু আমরা কাজ করতে পারছি না। কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনায় বসে দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হবে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “আরআইডিএফ প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা এসে পড়ে রয়েছে। জেলার বিভিন্ন রাস্তার অবস্থা খারাপ হলেও বাজেট পেশ না করতে পারায় আমরা কাজ করা যাচ্ছে না। এই সমস্যার অবসান না হওয়া পর্যন্ত কাজ এগোবে না।” |