জলের বদলে ফিনাইল খেয়ে নিলেন রোগিণী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাসপাতালের টেবিলে রাখা জলের বোতলে জলের বদলে ফিনাইল রাখা ছিল এবং বুঝতে না-পেরে ওই ফিনাইল তিনি খেয়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ জানান এক মহিলা। শনিবার বালি থানায় তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। বালি পুরসভা পরিচালিত প্রসুতি হাসপাতালে যে চিকিৎসকের কাছে এই মহিলা এসেছিলেন ঘটনার পর থেকেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কিছু জানাতে পারেননি। তবে হাসপাতালের তরফ থেকেও আলাদা করে একটি তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যে মহিলা অভিযোগ জানান তাঁর নাম কাজল ঘোষাল (৩২)। তিনি বালির-ই পদ্মবাবু রোডের বাসিন্দা। গর্ভস্থ সন্তান ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য এ দিন বালি পুরসভা পরিচালিত কেদারনাথ আরোগ্য ভবনে যান। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার আগে চিকিৎসক পঙ্কজকুমার বালা তাঁকে জল খেতে বলেন বলে জানান কাজল। তাঁর কথায়, “টেবিলের উপর সবুজ রঙের একটা জলের বোতল ছিল। সেটা থেকে জল ভেবে যেটা হলায় ঢালি তাতে ফিনাইলের গন্ধ লাগে। তত ক্ষণে বেশ কিছুটা তরল শরীরে চলে গিয়েছে। আমার বুক-পেট জ্বালা করতে থাকে। চিৎকার করে জাক্তারবাবু ও অন্য কমীর্দের ব্যাপারটা জানাতেই ওঁরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তার পর থেকে কোনও ডাক্তারবাবু আমাকে দেখতে আসেননি।”
|
আমরি-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে হাসপাতালের সুরক্ষায় নতুন নিয়মনীতি তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। হাসপাতালে দুর্ঘটনা ঘটলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, নতুন বিধিতে তারও দিশানির্দেশ থাকবে। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরি-কাণ্ডের পর হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থায় গলদ খুঁজতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তার অধীন এনডিএমএ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল। গত কাল এনডিএমএ-র বৈঠকে নতুন নিয়মনীতি তৈরির বিষয়টি ঠিক হয়। এনডিএমএ-র সদস্য মুজফ্ফর আহমেদকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তিনি একটি কোর গ্রুপ তৈরি করবেন। আলোচনা করবেন সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গেও। এনডিএমএ-র ভাইস-চেয়ারম্যান এম শশীধর রেড্ডি বলেন, “কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে হাসপাতালে কী ভাবে একসঙ্গে অনেক রোগীর চিকিৎসা করে পরিস্থিতি সামাল দেবে, সে ব্যাপারে এনডিএমএ বিধি চালু করেছে। কিন্তু তা মূলত হাসপাতালের বাইরে ঘটা দুর্ঘটনার জন্য। এখন হাসপাতালের মধ্যেই আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী ভাবে তার মোকাবিলা হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে।” আগের নিয়মনীতিও কঠোর ভাবে অনুসরণ করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। |