প্রধানকে দুষে পঞ্চায়েত ছাড়লেন দু’জন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বালি-জগাছা ব্লকের চামরাইলে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ জানিয়ে পদত্যাগ করলেন দলেরই দুই পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা অদ্বৈত বিশ্বাস ও হিরণ্ময় দাস। শুক্রবার তাঁরা বালি-জগাছার বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পঞ্চায়েতের সদস্যপদ ছাড়লেও ওই দু’জন অবশ্য এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা দল ছাড়ছেন না। চামরাইল পঞ্চায়েতটি তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের দখলে। ওখানে তৃণমূলের ছ’জন, কংগ্রেসের তিন এবং সিপিএমের পাঁচ জন সদস্য আছেন। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ১৯৯৮ থেকে হিরণ্ময়বাবু সদস্যপদে রয়েছেন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অদ্বৈতবাবু সদস্য হন। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ রায় দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় সদস্যদের বক্তব্যকে গুরুত্ব না-দিয়ে নিজের মর্জিমতো কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানের পদের অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করছেন। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার নামে টাকা তোলা তুলছেন। দলীয় নিয়মনীতি না-মেনে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তিনি গোপনে যোগাযোগ রাখছেন বলেও অভিযোগ। হিরণ্ময়বাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে প্রধানের অনৈতিক ও দুর্নীতিমূলক কাজের প্রতিবাদ করেও ফল হয়নি। তাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।” একই বক্তব্য অদ্বৈতবাবুরও। অভিযোগ অস্বীকার করে সুভাষবাবু অবশ্য বলেন, “তৃণমূলের সদস্য হয়েও বিগত তিন বছর ধরে ওঁরা কোনও কাজে থাকতেন না। সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের বিরুদ্ধেই কাজ করতেন।” ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মনে হচ্ছে, এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।” তিনি জানান, পদত্যাগী ওই দুই সদস্য তাঁকে আগে কিছুই জানাননি। দিল্লি থেকে ফিরে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানান বিধায়ক। |
সোদপুরে ডাকাতি, বৃদ্ধাকে মারধর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সোদপুরের অমরাবতী এলাকার একটি বাড়িতে শুক্রবার গভীর রাতে ডাকাতি হয়েছে। পুলিশ জানায়, তিন-চার জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী সদর দরজা ভেঙে ঢোকে। নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং কয়েক ভরি সোনার গয়না লুঠ করে পালিয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা পলাতক। বাড়ির মালিক দিব্যেন্দু দাস জানান, দুষ্কৃতীরা তাঁর বৃদ্ধা মা এবং স্ত্রীকে মারধরও করে। প্রাণে মারার হুমকি দেয় তাঁর বারো বছরের ছেলেকেও। পুলিশের সন্দেহ, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিয়েই ডাকাতি হয়েছে। |
গণপ্রহারে হত দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন দুরন্ত মণ্ডল নামে এক ব্যবসায়ী। গুলির শব্দে পড়শিরা বেরিয়ে এসে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। গণপ্রহারে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার চৌটিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুষ্কৃতীর নাম ইউসুফ মোল্লা (২৭)। বাড়ি স্থানীয় সারেন্ডা গ্রামে। দুরন্তবাবুকে কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |
ধৃতেরা খালাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ক্যানিংয়ে চার সিপিএম কর্মী খুনের মামলায় অভিযুক্ত সকলেই সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়ে গেলেন। পুলিশ ওই ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল। আলিপুরের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শনিবার ওই নির্দেশ দেন। এই মামলায় সাক্ষ্য দেন ১১ জন। বছর খানেক আগে তৃণমূলের সঙ্গে এক সংঘর্ষে চার সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। |