ফের বৃত্তি পরীক্ষা চালু করতে উদ্যোগী রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে ফের বৃত্তি পরীক্ষা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার মালদহে সত্য চৌধুরী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির ৫২তম রাজ্য সম্মেলনে এ কথা জানান পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বাম সরকার রাজ্য থেকে বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দিয়েছিল। ফের তা চালু করছি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হবে।” তিনি জানান, এখন থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যবই পৌঁছে যাবে। সে জন্যে এখন থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। ৩ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের কোনও স্কুলে পাঠ্যবই না পৌঁছলে সেই জেলার স্কুল পরিদর্শক, প্রধান শিক্ষকেরা দায়ী থাকবেন। আগে রাজ্যে প্রচুর টাকার বই কাগজে কলমে ছাপানো হলেও সময় মতো বেশিরভাগ স্কুলে পাঠ্যবই পৌঁছত না বলে তিনি অভিযোগ করেন। স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠনো হচ্ছে বলেও জানান।
অষ্টম শ্রেণি পযর্ন্ত পাশ তুলে দেওয়া, লটারির মাধ্যমে ভর্তির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডানপন্থী ওই শিক্ষক সংগঠন। এ দিনের সম্মেলন হাজির ছিলেন মন্ত্রী আবু নাসেরখান চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার আইন মেনে লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি পদ্ধতি চালু করছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দিতে চাইছে। আমরা তা অনুসরণ করেছি। নিয়ম সংস্কারের প্রয়োজন থাকলে আগামী বছর তা করা হবে।” সাবিত্রীদেবী জানান, ডোনেশন নেওয়া বন্ধ করার নিদের্শ দেওয়ার পরে এখনও কিছু স্কুল তা নিচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। সম্মেলনে উপস্থিত কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “শিক্ষাকে সবসময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা উচিত।”
|
আবগারিতে কর্মী বাড়াবে সরকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সংগ্রামপুরে বিষ-মদ কাণ্ডের পরে আবগারি দফতরকে ঢেলে সাজার তোড়জোড় শুরু করল রাজ্য সরকার। বাজারে দেশি ও বিদেশি মদের জোগান ও সরবরাহের উপরে নজরদারি চালায় আবগারি দফতর। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে ওঠা চোলাই মদের ভাটির উপরে নজরদারি চালাতে তারা যে ব্যর্থ হয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনা তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এ বার তাই আবগারি দফতরকে পুনর্গঠনের কথা ভাবছে সরকার। শনিবার মহাকরণে রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ জানান, নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে দফতরের প্রধান বাধা কম সংখ্যক কর্মী-অফিসার। আবগারি দফতরে নতুন লোক নিয়োগের পাশাপাশি অবসর নেওয়া কর্মী-অফিসারদের ফের নিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ দিনই মহাকরণে একটি বৈঠক হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম, আবগারি সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং আবগারি দফতরের কমিশনার দেবকুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সমরবাবু বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবগারি কমিশনার রিপোর্ট দেবেন।” |