এক দিনের ক্রিকেটে তিনি আর কত দিন থাকবেন তা নিয়ে জল্পনা তুলে দিলেন স্বয়ং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ইঙ্গিত দিলেন, বছর দু’য়েকের মধ্যে এক দিনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও নিতে পারেন। একই সঙ্গে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না তা নিয়েও এখনও নিশ্চিত নন বলে জানিয়ে দিলেন।
ক্রিকেটমহলকে খানিকটা বিস্মিত করে দিয়েই একটি চ্যানেলের দেওয়া খেলাধুলোয় ২০১১-র সেরা ভারতীয়ের পুরস্কার নিয়ে ভারত অধিনায়ক মন্তব্য করেছেন, “২০১৫-র এখনও সাড়ে তিন বছর বাকি। আমি জানি না তখন কোথায় দাঁড়িয়ে থাকব। ওই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক-ঠাক চলা দরকার। তার পর ২০১৫ বিশ্বকাপের কাছাকাছি এসে আমাকে দেখতে হবে একশো ভাগ দিতে পারব কি না।” তাঁর পরিবর্তে যে উইকেটকিপার আসতে পারেন, বিশ্বকাপের আগে তাঁরও যথেষ্ট ম্যাচ-প্রস্তুতি চাই বলে মনে করছেন ধোনি। বলেছেন, “বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই এমন কাউকে কিপার হিসেবে কেউ চাইবে না যার অন্তত একশো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। অন্তত আশি থেকে একশো ম্যাচ খেলা কাউকে বিশ্বকাপে খেলাতে হবে। সেই দিকটাও দেখতে হবে। আমার মনে হয় ২০১৩-র শেষে আমাকে দেখতে হবে শরীরের অবস্থা কেমন আর কী করা যেতে পারে।”
মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা খেলে যাওয়াই ধোনিকে ওয়ান ডে অবসরের ভাবনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একে তো লাগাতার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তার উপর আইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো নিংড়ে নেওয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। আঙুলে চোট নিয়েও যার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজের আগে কোনও বিশ্রাম পাচ্ছিলেন না ধোনি। আর একটা মত হচ্ছে, সাফল্যের শৃঙ্গে থাকতে থাকতে সরে যেতে চান তিনি। ভারত অধিনায়ক হিসেবে তিনি যে সব সাফল্য পেয়েছেন, কারও নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক হিসেবেই সরে যেতে চান।
২ এপ্রিলের সেই রাত এর মধ্যেও এসে পড়ছে। জনপ্রিয় জনমত হচ্ছে, ধোনি তাঁর আবেগ দেখান না। কিন্তু ‘ক্যাপ্টেন কুল’ জানাচ্ছেন, তিনিও কেঁদেছেন। অবশ্যই টিভি ক্যামেরার আড়ালে। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে। নিজে যেখানে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন অপরাজিত ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। “হ্যাঁ, আমিও কেঁদেছিলাম। তবে আপনাদের কাছে তার ফুটেজ নেই। ও রকম একটা মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা সত্যিই খুব কঠিন। তবে খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছিলাম। আমি ড্রেসিংরুমে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম আর হঠাৎ দেখলাম, আমার দুই সতীর্থ আমার দিকে ছুটে আসছে। ওদের চোখে জল। আমিও কেঁদে ফেলেছিলাম। তার পর তাকিয়ে দেখি সবাই আমাকে ঘিরে ধরেছে।” |