টুকরো খবর
‘নিখোঁজ’ পাক অভিনেত্রী বীণা মালিক
পাকিস্তানি অভিনেত্রী বীণা মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার প্রতীক মেটা। শুক্রবার সকাল থেকেই বীণার কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি প্রতীকের। নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত বীণা গোরেগাঁওয়ে একটি সিনেমার শুটিং করছিলেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শুটিং শেষ হওয়ার পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান বীণা। সিনেমার নির্দেশক হেমন্ত মধুকরের কথায়, “দুপুরের দিকে বীণার থেকে একটা এসএমএস পাই। কাজে মন দিতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়েছিল ও। বলেছিল, মানসিক অশান্তিতে রয়েছে।” সঙ্গে সঙ্গেই বীণাকে ফোন করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করতে পারেননি হেমন্ত। বীণার ম্যানেজার প্রতীক মেটার কথায়, “কাল থেকে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কোনও লাভ হয়নি। বান্দ্রা থানায় ঘটনাটি জানিয়েছি।” তবে, বান্দ্রা থানা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ২০১০-এ পাক ক্রিকেটার মহম্মদ আসিফের ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার ‘খবর’ ফাঁস করে সংবাদের শিরোনামে আসেন বীণা। এর পর থেকে বরাবরই বিতর্ক ঘিরে থেকেছে বীণাকে। খোলামেলা পোশাকে ছবি তোলার জন্য সম্প্রতি তাঁকে ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবা।

রুচিকা-মামলায় রাঠৌরের পেনশন ফের চালুর নির্দেশ
টেনিস খেলোয়াড় রুচিকা গিরহোত্রর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত হরিয়ানার প্রাক্তন ডিজিপি এস পি এস রাঠৌরের পেনশন ফের চালু করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের জুন মাস থেকে রাঠৌরের পেনশন বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। আজকের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন রুচিকার পরিবার এবং বন্ধুরা। ১৯৯০ সালের ১২ অগস্ট ১৪ বছরের টেনিস খেলোয়াড় রুচিকা গিরহোত্রর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এস পি এস রাঠৌরের বিরুদ্ধে। এর তিন বছর পরে আত্মহত্যা করেন রুচিকা। ২০০৯-এর ডিসেম্বরে রাঠৌরকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই আদালত। ২০১০-এর জুন থেকে রাঠৌরের পেনশন স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন রাঠৌর। আবেদনে তিনি বলেন, উপযুক্ত কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর পেনশন। এ প্রসঙ্গে পঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজিপি কে পি এস গিলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাঠৌর বলেন, একই অভিযোগে সাজা পেলেও গিলের পেনশন বন্ধ করেনি কেন্দ্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাঠৌরের পেনশন ফের চালু করার নির্দেশ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, পেনশন স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে হতাশ রুচিকার পরিবার ও বন্ধুরা। তবে হাল ছাড়ছেন না তাঁরা।

ইশরাত মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের চার্জশিট
ইশরাত মামলায় ২০ জন পুলিশের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা শুরু করল সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন সিবিআইয়ের এক কর্তা। ২০০৪ সালে আমদাবাদে ১৯ বছরের ইশরাত জহান-সহ চার জনকে গুলি করে মারে গুজরাত পুলিশ। অভিযোগ ওঠে ভুয়ো সংঘর্ষে তাঁদের খুন করা হয়েছে। পুলিশের পাল্টা দাবি ছিল, চার জন লস্কর ই তইবার সদস্য এবং গুজরাতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার জন্য। ঘটনাটির তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে গুজরাত হাইকোর্ট। সিট রিপোর্ট দিয়ে হাইকোর্টকে জানায়, ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে চার জনকে। এর পরই মামলাটির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়ে নতুন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয় আদালত।

ছয় জঙ্গি ধরা পড়ল অসমে
গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তিনটি জঙ্গি সংগঠনের ৬ জন সদস্য। পুলিশ জানায়, কাল রাতে তিনসুকিয়া পুলিশ মৃন্ময় বরুয়া ওরফে চিতেশ্বর চেটিয়া নামে আলফার এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। মাকুমের বাসিন্দা মৃণ্ময়, আলফার অর্থ সচিব জীবন মরানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সে, উজানি অসমে আলফার হয়ে অর্থ সংগ্রহের কাজ করছিল। এ দিকে, ঢেকিয়াজুলি থেকে পুলিশ মজিবুল হক নামে এক মালটা জঙ্গিকে, দু’টি পিস্তল-সহ গ্রেফতার করে। এর মধ্যে একটি ৯ মিলিমিটার বোরের, অন্যটি দেশি পিস্তল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মজিবুল, ধুবুরির একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। পাশাপাশি, সাঁওতালি লিবারেশন আর্মির চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাক্সার তামুলপুর এলাকার নাওখাটা থেকে, আজ সকালে, এদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে, দুই কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, একটি ৭.৬৫ মিলিমিটার পিস্তল, কার্তুজ ও ৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে।

খুনের প্রতিবাদ, পানীয় জল বন্ধের হুমকি
সহকর্মী ও তাঁর ছেলের হত্যার কিনারা না হলে রাজ্যে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন মণিপুরের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মীরা। ৭ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব ইম্ফল জেলার ইরিলবুং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের চত্বর থেকেই ওই বিভাগের কর্মী সোরাম ইবোমোচা (৫৬) ও তাঁর ছেলে সোরাম ইয়াইপুকে (১৮) অপহরণ করেছিল কেসিপি (এমটিএফ) জঙ্গিরা। সহকর্মীর মুক্তির দাবিতে যৌথ মঞ্চ গড়া হয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখান কর্মী ও ইবোমোচার পড়শিরা। কিন্তু, পুলিশ বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। গত কাল, ইয়ারিপোক এলাকার লেম্বা খুল কেইটাংলোক এলাকায় দুই জনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মেলে। দু’জনের চোখ ও হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। এরপরেই, ইবোমোচার সহকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। বামোন কাম্পু ও ইরিলবুং-এ পথ অবরোধ করা হয়। পানীয় জল প্রকল্পের বেশ কিছুটা অংশে বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। এতে জখম হন ৬ জন।

জামুইয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত পঞ্চায়েত প্রধান
জামুই জেলার চন্দ্রমাণ্ডি থানার এক পঞ্চায়েত প্রধানকে কাল রাতে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই একই জেলার সোনা থানার শরকান্ডা গ্রামে একটি স্কুল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনুমান, কাণ্ডটি মাওবাদীদেরই। নিহতের নাম লালমোহন যাদব (৪০)। জেলার পুলিশসুপার রামনারায়ণ সিংহ বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান রাতে একা বাড়ি ফিরছিলেন। তখন তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” অন্য ঘটনায় মাওবাদীরা ফের সোনো থানা এলাকার শরকাণ্ডা গ্রামের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে। গত রাতে প্রায় শ’খানেক জঙ্গির একটি দল গ্রামটিতে হামলা চালায়। মাটি কাটার মেশিন দিয়ে জুনিয়র হাইস্কুলটির দোতলা বাড়ি তারা ভেঙে দেয়। এলাকায় সিআরপিএফের জওয়ানরা টহল দিচ্ছে।

বক্সার কোর্ট থেকে অপরাধী ছিনতাই
আদালত চত্বরে গুলি চালিয়ে এক কুখ্যাত অপরাধীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল তার সঙ্গীরা। এই ঘটনায় মহম্মদ শামিম নামে এক পুলিশ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বক্সার জেলা আদালতে। বক্সারের ডিএসপি অরবিন্দ গুপ্ত বলেন, “আদালত চত্বর থেকে শেরু নামে ওই অপরাধীকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে তারা গুলিও চালায়। একজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। আমরা প্রতিটি থানাকে এই ব্যাপারে সতর্ক করেছি।”পুলিশ জানিয়েছে, শেরুর নামে বিহার সরকার ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। গত ৮ সেপ্টেম্বর কলকাতার, ধর্মতলা থেকে বিহার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে লুঠ এবং খুনের প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে। আজ দুপুরে আদালতে হাজিরা থাকায় পুলিশ তাকে সেখানে নিয়ে যায়। আগে থেকে তার সঙ্গীরা আদালত চত্বরে হাজির ছিল। পুলিশ যখন তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাঁটিয়ে আদালতের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় তার সঙ্গীরা পুলিশের চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দেয়। এরপর এলাকা সন্ত্রস্ত করার জন্য পুলিশকে গুলি চালায়।

দিপর বিলে মিলল ডাক্তারের দেহ
আজ সকালে গুয়াহাটি বনাঞ্চলের অন্তর্গত দিপর বিলে ভেসে উঠল অপহৃত চিকিৎসকের মৃতদেহ। পুলিশ জানায়, এ দিন ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিলে একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা গিয়েছে, দেহটি আমির হুসেন নামে এক চিকিৎসকের। দক্ষিণ কামরূপের কুকুরমারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনি কর্মরত ছিলেন। চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, কাল রাতে তিন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে। পরে চিকিৎসকে নিয়ে চলে যায় তারা। তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ, রাতে বাইরে কোথাও হুসেনকে হত্যা করা হয়। তার পর দিপর বিলের জলে তাঁর মৃতদেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের মুখ ক্ষতবিক্ষত ছিল। এক দিকের কানও ছিল না।

ধলাইয়ে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর আক্রমণে মৃত্যু ঘটল স্ত্রীর। গুরুতর জখম দম্পতির কিশোর সন্তান। পুলিশ জানায়, বৃহষ্পতিবার রাতে ত্রিপুরায় ধলাই জেলার মানিকপুরের পূর্ণ রোয়াজাপাড়ায় ঘটেছে এই কাণ্ড। উধাও বাড়ির কর্তা বিষ্ণুদা ত্রিপুরা (৪৯) নামে ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তির জেরেই খুন হন মহিলা। কয়েক মাস ধরেই ভারসাম্যহীনতার শিকার বিষ্ণুদা ত্রিপুরা। বৃহস্পতিবার রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্ত্রী চন্দারাঙ ত্রিপুরা (৪৮) ও ছেলে শান্তিরাম ত্রিপুরার (১৭) উপরে।

জেডিইউ-আরজেডি সংঘর্ষে নিহত এক
পঞ্চায়েত অফিসে চলছিল বৈঠক। এর মধ্যেই জেডিইউ ও আরজেডি-র মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মুন্না সিংহ (৩৫) নামে একজনের গুলিতে মৃত্যু হয়। বিহারের ছাপরা জেলার মশরুখ ব্লকের ঘটনা। এই ব্লকে উন্নয়ন নিয়ে পঞ্চায়েতের বৈঠক চলছিল। তখন জেডইউ ও আরজেডি সমর্থকদের বচসা বাধে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন লোকজন। তার পর দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পুলিশের বক্তব্য, তখন আরজেডি সমর্থকদের মধ্যে থেকে কেউ একজন গুলি চালায়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অপরাধীকে ধরা যায়নি।

ঠান্ডায় মৃত পাঁচ
জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তেই ঝাড়খণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়েছে। ঠাণ্ডায় হাজারিবাগ, পলামু, চাতরা, রামগড় এবং গুমলা জেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের জেলাগুলিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলার সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্যের আবহাওয়া দফতর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.