ভেঙে দেওয়া ঠেক থেকে চোলাই পড়েছিল মাটিতে সংগ্রামপুরের । চেটে খেয়ে মারা গেল কিছু ভেড়া ও কুকুর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকালে সংগ্রামপুর রেলগেটের আশপাশের চোলাই ঠেক ভেঙে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। মাটিতে পড়ে থাকা বিষমদ চেটে খেয়েছিল কিছু ভেড়া ও কুকুর। মগরাহাট ২ ব্লক থেকে নির্বাচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল সালেম হালদার শুক্রবার বলেন, “মৃত ওই সব ভেড়ার মাংস যাতে কেউ না খান, সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে। মৃত পশুদের দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” |
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিষমদে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮। কেন ওই মদে এত জনের মৃত্যু হল, এ দিন মহাকরণে এসে তার প্রাথমিক রিপোর্ট জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম। তিনি বলেন, সংগ্রামপুর অঞ্চলে ওই দিন যে চোলাই মদ বিক্রি করা হয়, তাতে মাত্রাতিরিক্ত মিথাইল অ্যালকোহল মেশানো হয়। ভিসেরা রিপোর্টে তেমনই তথ্য মিলেছে বলে জেলাশাসক জানান। তিনি বলেন, “চোলাই মদে ২৫ শতাংশের বেশি মিথাইল অ্যালকোহল থাকার কথা নয়। কিন্তু ভিসেরা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ওই চোলাইয়ে ৬০ শতাংশের বেশি মিথাইল অ্যালকোহল মেশানো হয়েছিল।” এ দিন ডায়মন্ড হারবারের আবগারি দফতরের অফিসার ইন চার্জ রাধেশ্যাম পাণ্ডেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। |
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে গোচরণ এলাকায় মদের ভাটিগুলি ভেঙে দেওয়া হয়। ভাটি ও ঠেক চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরও তিন জনকে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হল ১৩ জন। শুক্রবারও রাজ্য ফরেন্সিক দফতরের আধিকারিকেরা মৃতদের রক্ত ও ভিসেরা সংগ্রহ করেন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি এ দিন তদন্ত শুরু করছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার এডিজি সিআইডি (২) ত্যাগ রাজু এবং ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) কে জয়রামনের নেতৃত্বে সিআইডি-র একটি দল উস্তি থানা ও সংগ্রামপুরে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। |