হলদিবাড়ির রাস্তায় ব্যাঙ্কের টাকা লুঠের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। মঙ্গলবার গভীর রাতে বোদাগঞ্জ এলাকা থেকে বিষ্টু দেবরায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষ্টুকে জেরা করে কোতোয়ালি থানার মন্ডলঘাট এলাকার বাসিন্দা ললিত দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত ললিত দাসের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি সদর শাখা থেকে হলদিবাড়ি শাখায় গাড়ি করে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময়ে মোটরবাইক চেপে দুষ্কৃতীরা ২০ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার ও নিরাপত্তা কর্মী সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ধৃত দুজনকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়. ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে. জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবারে বোদাগঞ্জ ও মন্ডলঘাট এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করার জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৯ জন ধরা পড়েছে। এর মধ্যে দু জন ব্যাঙ্কেরই কর্মী। ডাকাতির ঘটনার যে মূল পান্ডা তারও হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই সে ধরা পড়বে।” পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ধৃত বিষ্টু দেবরায়ের বাইক ডাকাতির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। বোদাগঞ্জের বাসিন্দা বিষ্টু দাসের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের তার চুরি সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মন্ডলঘাটের বাসিন্দা ললিত দাসের একটি মুদি দোকান রয়েছে। পুলিশ জানায়, জেরায় জানা গিয়েছে রাজগঞ্জের বাসিন্দা এক কুখ্যাত অপরাধীই পুরোনো পরিচয়ের সুবাদে ললিত দাসকে ডাকাতির চক্রে জড়িত করেছিলেন। ললিতকে গাড়ি কেনার জন্য অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকাও দিয়েছিল চক্রের মূল পান্ডা। |