নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
যুবককে ভর্ৎসনা করায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিঠু সেনগুপ্তের হাত কেটে নেওয়ার ৮ দিন পরেও অভিযুক্ত গ্রেফতার না-হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা আন্দোলনে নামলেন। বুধবার আলিপুরদুয়ার কলেজ হল্ট এলাকায় বেলা ১২টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা পথ অবরোধ করেন স্থানীয় একদল মহিলা। তাঁরা এ দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “শুনেছি মিঠু সেনগুপ্তের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত হকি দাসের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেছেন। কিন্তু দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এলাকায় কোনও ধরণের বেআইনি কাজ হলে সাধারণ মানুষ সরাসরি আমাকে ফোন করতে পারেন ৮১৪৫৭-০০৪৭১ নম্বরে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হকি দাসের ভাই রকি দাস এলাকার একটি মেয়েকে নিয়ে পালানোয় ভর্ৎসনা করেন মিঠুবাবু। ওই আক্রোশে হকি মিঠুবাবুর উপর হামলা চালায়। তাঁর বাঁ হাত কব্জি থেকে ভোজালি দিয়ে কেটে ফেলে গলায়, ঘাড়ে, পিঠে কোপায়। মিঠবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল ও পরে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়। গত ৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসের পিছনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক হকি। মিঠু বাবুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, হামলার আট দিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত হকিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা হাতে পোস্টার নিয়ে কলেজ হল্ট এলাকায় বক্সা ফিডার রোড অবরোধ করে। মিঠুবাবুর দিদি শিখা সেনগুপ্ত বলেন, “ভাইয়ের উপর হামলা চালানোয় অভিযুক্ত হকি দাসকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না বুঝতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে সাধারন মানুষের পথচলা দায় হবে।’’ এদিন কলেজ হল্ট এলাকায় পথ অবরোধ চলার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়ালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “হকি দাসের বাবা মালবাজারে জিআরপিতে কর্মরত। ওই কারণে পুলিশ হকিকে গ্রেফতার করছে না। ওই ঘটনা নিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বাড়ছে। এক সপ্তাহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার না-করা হলে আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ার বন্ধ ডাকতে বাধ্য হব।” |