|
|
|
|
নৈনান-অভিযানের কথা জানত পুলিশ, দাবি |
পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
মগরাহাট থানায় কোথায় অবৈধ লাইন কাটার অভিযান চালানো হবে, তা আগাম পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল বলে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দাবি। পাশাপাশি সংস্থার অভিযোগ: বাসিন্দারা যে অভিযান ঠেকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, পুলিশ আদৌ তা জানতেই পারেনি। এবং তারই ফলে গত ১ ডিসেম্বর মগরাহাটের নৈনানে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বলে রাজ্যকে দেওয়া এক রিপোর্টে বণ্টন সংস্থা জানিয়েছে।
মগরাহাটে সে দিন পুলিশের চালানো গুলিতে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়। বণ্টন সংস্থার নিজস্ব ওই তদন্ত-রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এখন বিদ্যুৎ কর্তাদের একাংশের সন্দেহ, হুকিং-রোধী অভিযান বন্ধ করতে রীতিমতো ছক কষে সে দিন মহিলা- শিশুদের সামনে রেখে মারমুখী হয়ে উঠেছিল কয়েক হাজার মানুষ। ঘটনার পরে প্রশ্ন ওঠে, অভিযানের জন্য ওই জায়গাটাকেই কেন বেছে নেওয়া হল? এমনকী পুলিশও
বলেছিল, মগরাহাটের ঠিক কোথায় অভিযান হবে, তা তাদের আগে জানানো হয়নি। জানলে তাঁরা আগাম তৈরি থাকতে পারতেন বলে মন্তব্য করেছিলেন পুলিশকর্তারা। কিন্তু বণ্টন-রিপোর্টের দাবি: নৈনানে অভিযানের কথা পুলিশকে বলা হয়েছিল। পুলিশ আপত্তি তোলেনি। তারা উড়েলচাঁদপুর ও মাখালিয়া গ্রামে যেতে বারণ করে, যা বিদ্যুৎ-কর্তারা মেনেও নেন। এক কর্তার কথায়, “পয়লা ডিসেম্বর যে অভিযান শুরু হবে, তা পঞ্চায়েতের কিছু সদস্য ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে জানানো হয়েছিল। এমনকী, মাইকে প্রচারের জন্য পঞ্চায়েতের গাড়িও নেওয়া হয়।” এবং বণ্টন সংস্থার বক্তব্য, বারুইপুর ডিভিশনের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটিতেই বিদ্যুৎ চুরি হয় সবচেয়ে বেশি। বস্তুত লাইনে জোগানো বিদ্যুতের ৭৮ শতাংশই হুকিং করে টেনে নেওয়া হয়। তাদের তথ্য বলছে, ওই তল্লাটের সাড়ে আটশো পরিবারের মধ্যে বৈধ গ্রাহক মাত্র ১৬০। বিদ্যুৎ চেয়েও না-পাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে এক বণ্টন-কর্তার ব্যাখ্যা: নৈনানে লাইন নেওয়ার জন্য ২০০৭ থেকে সাকুল্যে ৪৭টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তার মধ্যে ২৯টি পরিবারকে লাইন দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৮টির মধ্যে ১৬টি পরিবার দু’শো টাকা এখনও জমা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে শুধু নৈনানে চুরি বন্ধ করা গেলেই বারুইপুর ডিভিশনের আয় অনেকটা বাড়ানো যেত বলে মনে করছেন বণ্টন-কর্তারা। |
|
|
|
|
|