মগরাহাটে মানসিক চাপে ছিল পুলিশ, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
হুকিং কাটার অভিযানে গিয়ে মগরাহাটে পুলিশের গুলি চালানো ঠিক হয়নি বলে আগেই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, মগরহাটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ মানসিক চাপে পড়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, “ক’জন পুলিশ চল্লিশ হাজার লোকের মাঝখানে পড়ে গিয়েছে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা যদি পুলিশের না-থাকে, তা হলে তারা মানসিক চাপে পড়বে।”
বুধবার সন্ধ্যায় সায়েন্স সিটিতে রাজ্য পুলিশের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার কিছু পরেই এক টিভি সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, “আমি এখনও মনে করি, ও-ভাবে গুলি চালানো ঠিক হয়নি। ওখানে কেউ না কেউ প্ররোচনা (জনতাকে) দিয়েছিল। দু’পক্ষেরই অন্যায় আছে। বিদ্যুৎ দফতরেরও ভুল হয়েছিল।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হুকিং সারা বাংলা জুড়ে আছে। কিন্তু আমাদেরও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। সেগুলো খেয়াল করতে হবে। বিদ্যুৎ দফতরকেও সংবেদনশীল হতে হবে।”
পুলিশের উন্নয়নের ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল হলেই পুলিশকর্মীদের উন্নয়ন এবং পুলিশের আধুনিকীরণে জোর দেবে সরকার। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনাও হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের ১৩৯ জন কর্মীর হাতে এ দিন শৌর্য, নিষ্ঠা, প্রশংসা এবং সেবা পদক তুলে দেওয়া হয়। পদক প্রদানের পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার। এত দিন শৌর্য পদক প্রাপকেরা আর্থিক পুরস্কার পেতেন ১৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। নিষ্ঠা পদকের আর্থিক পুরস্কার ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, প্রশংসা পদকের আর্থিক পুরস্কার ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার এবং সেবা পদকের আর্থিক পুরস্কার পাঁচ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, কর্মরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মী দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সরকারই তাঁর পরিবারকে দেখবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার পুলিশকর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নিলে তবেই পুলিশ অনুপ্রাণিত হবে।”
পশ্চিমবঙ্গে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা কম। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের জন্য পুলিশ রয়েছে মাত্র ৬৬ হাজার। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পুলিশে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। গত কয়েক মাসে ১৫ হাজার পুলিশকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা হয়েছে। আগামী দু’মাসে আরও দু’হাজার পুলিশ নিয়োগ করা হবে।” তিনি আরও জানান, রাজারহাট, সল্টলেক, বারাসত নিয়ে পৃথক পুলিশ কমিশনারেট তৈরি করা দরকার। ব্যারাকপুর, শিলিগুড়িতেও শীঘ্র পুলিশ কমিশনারেট গড়বে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় আসার ফলে সেখানে কয়লা-মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.