নিজেদেরই প্রাপ্য পদক, নিজেদেরই প্রাপ্য আর্থিক পুরস্কার, অথচ তা পেতে গিয়ে চরম হেনস্থার সামনে এগারো জন ক্রিকেটার। তাঁদের অভিযোগ, প্রাপ্য জিনিস তো পাওয়া যায়ইনি উল্টে প্রতিবাদের জন্য নির্বাসনের হুমকি শুনতে হচ্ছে।
ঘটনাটা কী? সিএবি আয়োজিত জেলা টি-টোয়েন্টিতে উত্তর চব্বিশ পরগণাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন দেবোপম বিশ্বাস, দেবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় সহ এগারো জন। সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানে তাঁদের পদক এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা দেওয়াও হয়। কিন্তু ক্রিকেটারদের অভিযোগ, তা তাঁরা পাননি। জেলা কর্তারা সে সব আত্মসাৎ করেছেন। এবং সিএবি-র কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করেও কোনও লাভ হয়নি। দেবোপম যেমন বলছিলেন, “বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়েছে জুলাইয়ের শেষে। আজ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই যে জেলা কর্তারা আমাদের পুরস্কার নিয়ে নিলেন, তা আজও পাইনি। সিএবি-র কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। লাভ হয়নি।” দেবজ্যোতি-র আবার বক্তব্য, “এখন শুনলাম সিএবি-র কাছে অভিযোগ করার জন্য নির্বাসনও নাকি হতে পারে আমাদের।”
জেলা কর্তারা ক্রিকেটারদের নির্বাসনের প্রস্তাবের পিছনে অন্য কারণ তুলে আনছেন। তাঁদের বক্তব্য, ব্যাপারটা নিয়ে রফা করতে ক্রিকেটারদের মঙ্গলবারের সাব-কমিটির বৈঠকে ডাকা হয়। কিন্তু তাঁরা আসেননি। তখনই ঠিক হয়, ওয়ার্কিং কমিটির কাছে এই মর্মে প্রস্তাব দেওয়া হবে যে, এই এগারো জনকে জেলার ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাঠানো হোক। কারণ, তাঁরা শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। সাব-কমিটির সূত্রেই তা জানা গেল। ক্রিকেটারদের বক্তব্য, তাঁরা বৈঠকের ব্যাপারে কিছু জানতেনই না, তাই যাননি। জেলা কমিটির সচিব শীলভদ্র দত্ত আবার পুরো ঘটনাটাকেই উড়িয়ে বললেন, “আমার কাছে নির্বাসন সংক্রান্ত কোনও খবরই নেই।” আর সিএবি? কর্তারা জানাচ্ছেন, ক্রিকেটারদের ওই অভিযোগের পর নতুন কমিটি আনা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার দু’মাস পরেও কিছু হয়নি কেন? সংস্থার যুগ্ম-সচিব বিশ্বরূপ দে বলে দিলেন, “আমরা তো বলেছিলাম ক্রিকেটারদের প্রাপ্য ওদের ফিরিয়ে দিতে। নির্বাসনের ব্যাপারটা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” |