জাতীয় ইংল্যান্ডের দলের নিয়মিত সদস্য। টিমের অন্যতম সেরা পেসার তো বটেই। একই সঙ্গে টিভি প্রেজেন্টার। গত আইপিএলে স্কাই টিভিতে সঞ্চালক হিসেবে মন্দিরা বেদী-র স্থলাভিষিক্তা। আবার বাঙালিও বটে! সূদূর ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় ছুটি কাটাতে এসেও বছর ছাব্বিশের ঈশা গুহ ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারলেন না। ফোন করলেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক ও বন্ধু ঝুলন গোস্বামীকে। আর তার পর বুধবার সাতসকালে ইডেনের উল্টো দিকে খোলা মাঠে নেমে পড়লেন বাংলার মেয়ে দলের সঙ্গে প্র্যাক্টিসে।
রীতিমতো পুরো রান আপ নিয়ে বোলিং। সঙ্গে ব্যাটিংও। মাঝে-মাঝেই ঝুলনের সঙ্গে বোলিংয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে আদানপ্রদান। “ছুটি কাটাতে এসেছিলাম। কিন্তু ক্রিকেট ছেড়ে থাকতে পারি না। ঝুলনকে ফোন করে চলে এসেছি। সামনেই নিউজিল্যান্ড আসবে ইংল্যান্ডে। ওদের সঙ্গে সিরিজের প্রস্তুতিটা সেরে রাখছি,” বলছিলেন আজন্ম ব্রিটিশ নাগরিক ঈশা। যিনি সচিন তেন্ডুলকরের পাশাপাশি ডারেন গফ ও ইয়ান বোথামের অন্ধ ভক্ত। |
বার্কশায়ারের হয়ে খেলেন। খেলা হয়ে গিয়েছে ৮টি টেস্ট (১৮ উইকেট), ৮৩ ওয়ান ডে, যেখানে উইকেটের সেঞ্চুরিও হয়ে গিয়েছে তাঁর। ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন। সামনের ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দেখবেন বলে মুখিয়ে রয়েছেন, বুধবার দুপুরে ইডেনে বাংলা-দিল্লি রঞ্জি ম্যাচেও ঘুরে গেলেন। খোলা মাঠে জাতীয় দলের অধিনায়ক ঝুলনকে প্র্যাক্টিস করতে দেখে কিছুটা অবাকই হয়ে যান ঈশা। বলেই ফেললেন, “এ ভাবে খোলা মাঠে এখানে প্র্যাক্টিস হয়?” আপাতত ইচ্ছে বলতে মেয়েদের আইপিএল চালু হওয়া। “মেয়েদের আইপিএল হলে কিন্তু জমে যাবে। আটটা ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক ভারত থেকেই। কিন্তু আমাদের মতো ক্রিকেটাররা যেন খেলতে পারে। চিয়ারবয়েজ থাকতে পারে। ভারতীয় বোর্ডের উচিত ব্যাপারটা চালু করা। গ্যারান্টি দিচ্ছি, মেয়েরা ক্রিকেটটা খুব খারাপ খেলে না,” বললেন ঈশা। |